সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে প্রখ্যাত আলোচক ও অনুবাদক নির্মলা জৈনের স্মরণসভা ও আলোচনা

মেহের সেখঃ

২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে সাহিত্য অকাদেমির প্রধান কার্যালয় নিউ দিল্লীতে প্রখ্যাত আলোচক ও অনুবাদক নির্মলা জৈনের স্মৃতিতে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। উক্ত স্মরণসভার প্রথমেই সাহিত্য অকাদেমির সচিব ড. কে শ্রীনিবাস রাও নির্মলা জৈনের ছবিতে পুষ্প অর্পণ করে নির্মলা জৈনকে স্মরণ করেন এবং নির্মলা জৈনের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন পুরুষ প্রধান আলোচনা ক্ষেত্রকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে একটা স্বতন্ত্র ঘরানা নির্মাণ করেছিলেন। আলোচক রাজেন্দ্র গৌতমের বক্তব্যে উঠে আসে তিনি নিজের মান্যতা ও দৃঢ়তাকে বজায় রেখে কীভাবে কাজ করে চলতেন তার কথা। আলোচক রামেশ্বর রায় তাঁর নিজের গুরুর মতো তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে বলেন এক সাহিত্য সভায় তিনি তাঁর প্রশংসা করে তাকে উৎসাহিত করেছিলেন। আলোচক দিবিক রমেশও তাকে অভিভাবকের চোখে দেখতেন বলে জানান। তিনি তাঁর প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন তিনি যে শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠ আলোচকই ছিলেন তাই-ই নয় তিনি একজন শ্রেষ্ঠ সম্পাদকও ছিলেন। আলোচক পুরুষোত্তম অগ্রবালের কথায় উঠে আসে তাঁর নারীবাদী ভাবনায় শুধুমাত্র নারীই নয় নারী পুরুষ সকলের কথায় ভাবা হতো। অনলাইনে প্রেম জন্মেঞ্জয় তাঁর গদ্যশৈলীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন। সাহিত্য অকাদেমির অধ্যক্ষ মাধব কৌশিক অনলাইন মাধ্যমে বলেন তাঁর মৃত্যুতে তিনি সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছেন। তাঁর প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন তিনি শ্রেষ্ঠ অনুবাদিকা ছিলেন। আলোচক গরিমা শ্রীবাস্তব তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে বলেন তিনি জেন্ডার সমতায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ তিনি নিজেই খণ্ডন করেছিলেন। আলোচক বিনোদ তিওয়ারি বলেন তিনি আলোচনা পদ্ধতিকে নতুন ভাবে বিকশিত করেছিলেন। আলোচক রেখ সেঠী তাঁর আত্মীয় হিসেবে তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে বলেন তিনি সত্যিকারের গুরু ছিলেন এবং তাঁর নিজের শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের শিক্ষিত করে তুলতেন। আলোচনাসভার একেবারে শেষে আলোচক রণজীত সাহা বলেন তিনিই প্রথম এবং শেষ যথার্থ স্ত্রী আলোচক। সভার শেষে নির্মলা জৈনের স্মৃতিতে সকলে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। সাহিত্য অকাদেমির উদ্যোগে হওয়া এই স্মরণসভা ও আলোচনাসভার সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সাহিত্য অকাদেমির উপসচিব ড. দেবেন্দ্রকুমার দেবেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *