ব্রহ্মোস: ভারতের গর্ব – একটি Supersonic গতির ক্ষেপণাস্ত্র

নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ

ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এটি একটি সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যা ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি। এর নাম এসেছে দুটি নদীর নাম মিলিয়ে — ভারতের “ব্রহ্মপুত্র” এবং রাশিয়ার “মস্কোভা”।

মূল বৈশিষ্ট্য:
গতি: প্রায় ২.৮ ম্যাক (ধ্বনির গতির প্রায় তিনগুণ)।

পরিসীমা: ২৯০ কিমি থেকে সর্বোচ্চ ৪৫০ কিমি (সম্প্রতি আপগ্রেডের ফলে)।

ওজন ও লম্বা: ওজন প্রায় ৩ টন, দৈর্ঘ্য প্রায় ৮.4 মিটার।

যুদ্ধভার (ওয়ারহেড): ২০০ থেকে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক ক্ষমতা।

নির্ভুলতা: এর CEP (Circular Error Probability) ১ মিটারের কম, যা এটিকে খুবই নির্ভুল করে তোলে।

বহুমুখী উৎক্ষেপণ ক্ষমতা:
ব্রহ্মোস মিসাইল সমুদ্র, স্থল ও আকাশ থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। এটি যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, মোবাইল লঞ্চার, এমনকি ফাইটার জেট (যেমন সু-৩০ MKI) থেকেও উৎক্ষেপণযোগ্য।

প্রযুক্তিগত দিক:
ব্রহ্মোস একটি র‍্যামজেট ইঞ্জিন চালিত ক্ষেপণাস্ত্র যা উচ্চ গতি বজায় রেখে শত্রুর রাডার এড়িয়ে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এটির স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্যবস্তু সনাক্তকরণ এবং শেষ মুহূর্তে নিজেকে সামঞ্জস্য করার ক্ষমতা এটিকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র করে তুলেছে।

কৌশলগত গুরুত্ব:
ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে ব্রহ্মোস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি সীমান্ত রক্ষা ও সমুদ্র নিরাপত্তার জন্য একটি কার্যকরী হাতিয়ার। এর উপস্থিতি শত্রুকে মানসিক চাপে রাখে এবং ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *