চিকিৎসায় গাফিলতি, আবর্জনা পরিষ্কার সহ কয়েকদফা দাবিতে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হসপিটালে স্মারকলিপি প্রদান

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

বীরভূমের রামপুরহাট মহাকুমা সহ ঝাড়খণ্ডের একটা অংশের জনসাধারণের একমাত্র সরকারি চিকিৎসার ভরসা কেন্দ্র হচ্ছে রামপুরহাট সরকারি মেডিকেল কলেজ হসপিটাল। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক মাস যাবত হসপিটালে চিকিৎসায় গাফিলতি সহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ শিরোনামে। চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে গাফিলতির কারণে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের ঝামেলা। এনিয়ে অনেকক্ষেত্রে আইনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান মেটেনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতি। কিছু ডাক্তার বাবু, নার্স, হাসপাতাল কর্মীগণ ও হাসপাতালে নিযুক্ত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীসহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী সহ তাদের পরিজনদের সাথেও দুর্ব্যবহার নানাবিধ অভিযোগ শোনা যায় । এছাড়া হাসপাতালে দালাল চক্রের সক্রিয়তা। এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের পক্ষ থেকে সোমবার একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট। বিভিন্ন ধরনের দাবি সম্বলিত পোস্টার ব্যানার প্ল্যাকার্ড হাতে মঞ্চের সদস্যরা হসপিটাল গেটের সামনে থেকে মিছিল সহযোগে এম এস ভিপির হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। উল্লেখ্য অনুলিপি রামপুরহাট মহকুমা শাসক আধিকারিকের অফিসে জমা দেন। দাবিদাওয়ার মধ্যে ছিল ইউএসজি, এক্সরে এবং সিটি স্ক্যান এর জন্য সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। যেমন ইউএসজির জন্য একটি পেসেন্টকে তিন মাস পরে ডেট দেওয়া হচ্ছে এবং গর্ভবতী মহিলাকে এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিংয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে যা খুবই কষ্টকর। তাছাড়া সিটি স্ক্যান নষ্ট হওয়া তো নিত্যদিনের ঘটনা । ডাক্তার বাবুরা নিজেরা চিকিৎসা না করে জুনিয়র ডাক্তারকে দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এছাড়া সময়মতো হসপিটালে রোগী না দেখে বাইরে চেম্বার করতে ব্যস্ত। হসপিটালে যে ডাক্তারের যতক্ষণ ডিউটি থাকবে তাকে ততক্ষণ সেই সময় মত ডিউটি করতে হবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডের নার্স এবং ওয়ার্ড বয়রা তারা নিজের ডিউটি বাদ দিয়ে মোবাইল দেখতে ব্যস্ত থাকছেন এবং রোগীদের সঙ্গে বা তাদের বাড়ির লোকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। প্রত্যেক ওয়ার্ডের বাথরুম তিন বেলা করে পরিষ্কার করতে হবে এবং হসপিটালের প্রত্যেক বেডে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বেড কভার দিতে হবে। হসপিটালের ওপিডি বিভাগের ঔষধের নিয়মাবলী সঠিকভাবে লিখে দিতে হবে। যাহাতে তারা সঠিকভাবে ওষুধগুলো খেতে পারে। হসপিটালের মেনগেট এবং এক নম্বর গেট চব্বিশ ঘন্টা খোলা রাখতে হবে। যাহাতে সাধারণ মানুষ এই গেট দিয়ে রাত্রিবেলায় যাওয়া আসা করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *