
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
জেলার বুকে ক্রমশ গরু পাচারের সংখ্যা দৈনন্দিন অবৈধ বালি কয়লার মতো বেড়েই চলেছে। যদিও পুলিশের তৎপরতায় অনেক ক্ষেত্রে পাচারকারীরা গরু গাড়ি সহ ধরা পড়ছে। সেরূপ সোমবার রাতভর গোপন সূত্রের ভিত্তিতে সিউড়ি সাঁইথিয়া পাকা রাস্তার উপর ডিএসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর সন্দেহজনক একটি ডিসিএম গাড়ি দেখা যায়। এদিকে গাড়ির চালক পুলিশ দেখতে পেয়ে রাস্তা বদলে ফেলে। যার ফলে সন্দেহ ঘনীভূত হতেই গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে এবং সিউড়ি থানার ইটাগড়িয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়। অভিযান চালিয়ে গাড়ির দুটি বাঙ্কারের মধ্যে থেকে ৩৭টি বড় আকারের গরু উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার লক্ষ্যে গাড়ির পেছনে সোনালী রঙের প্লাস্টিকের চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ গরু ভর্তি গাড়ি সহ চালক ও দুই সহকারীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে ঝাড়খণ্ডের মহিষবাথান থেকে গরু ক্রয় করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিক্রির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। ইতিপূর্বেও এই পথ দিয়ে গরু পাচারের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।তারা আরও জানিয়েছে যে, রাতের দিকে বীরভূমের ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্ত অতিক্রম করার পর তারা সপ্তাহে কমপক্ষে ২/৩ দিন বিহার- ঝাড়খণ্ড থেকে মুর্শিদাবাদে গরু অবৈধভাবে পরিবহন করত। গরুর অবৈধ ব্যবসার জন্য ট্রানজিট রুট হিসেবে বীরভূমের এই পথ ব্যবহার করছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের সিউড়ি থানায় হস্তান্তরের পাশাপাশি যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
