শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের খুষ্টিগিরীতে হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে আজ ৭ জুন সকাল ৭:৩০ নাগাদ পবিত্র ‘ঈদ উল আযহা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বহু মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষ এই নামাজে অংশগ্রহণ করেন। খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের কর্ণধার তথা তত্ত্বাবধায়ক পীর হজরত সৈয়দ শাহ হাফিজুর রহমান কেরমানী এই পবিত্র ঈদ উল আযহা প্রসঙ্গে বলেন―ঈদ-উল-আযহা উৎসব ত্যাগ, সংযম ও আত্মদানের উৎসব। ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহতালার আদেশ পালন তথা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজ প্রিয় পুত্র ইসমাইল(আঃ) কে কোরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁর আচরণে প্রমাণিত হয়েছিল পুত্রের ভালোবাসা থেকেও আল্লাহতালার প্রতি ভালোবাসা অনেক বড়। তাঁরই এই মহান ত্যাগের স্মৃতিতে মুসলিম ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় প্রতি বছর ১০ই জিলহজ্জ্ব ঈদ-উল-আযহার নামাজ পাঠ করেন ও নিজ নিজ গৃহে পশু কোরবানী করেন। কোরবানীর পশুর গলায় ছুরি দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে গুপ্ত পশুত্বের গলায় ছুরি দিতে হবে; বিসর্জন দিতে হবে কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-পরনিন্দা-পরশ্রীকাতরতা। মানবতাবোধ-শৃঙ্খলাবোধ ও সম্প্রীতি রক্ষায় সকলকে এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ঈদ-উল-আযহার নামাজ শেষে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের ও দূর দুরান্তের পুণ্যার্থীরা হজরতকে সালাম ও শ্রদ্ধা জানান। একে অপরকে হাতে-হাত মিলিয়ে ও বুকে-বুক মিলিয়ে প্রীতি বিনিময় করেন। হজরত সাঈয়েদেনা শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) ও তাঁর বংশধরগনের মাজার শরীফ ভক্তেরা জিয়ারত করেন, দোয়া-আশীর্বাদ চেয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যান। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজকের ঈদ উৎসব পালিত হওয়ায় দরগাহের গদ্দিনেশীন সাহেব দরগাহ শরীফের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।
বীরভূমের মুরারইতে ঈদের নামাজ
সারা বীরভূম জুড়ে সকাল থেকে আজ ৬ জুন মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষজন ঈদ উদযাপনে মেতে উঠেছেন। বীরভূমের মুরারই১ নং ব্লকের অন্তর্গত পাইকর থানার কামালপুর গ্রামে আজ সকালে ঈদ-উল-আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ঈদগাহ মাঠে। স্থানীয় কামালপুর,বসন্তপুর এবং জালালপুর এই তিনটি গ্রামের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজন একসঙ্গে নামাজ পাঠ করেন। অন্তত ১ হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন আমাদের সংবাদদাতা দীপু মিঞা।
