চালান ছাড়াই তিনটি অতিরিক্ত বালি বোঝাই ডাম্পার এবং চালক খালাসি সহ মোট ছয় জন ধৃত

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

জেলা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ও পাচারের কাজ। যদিও পুলিশের ধরপাকড় হয়েছে তবুও একশ্রেণীর পাচারকারীরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কখনো ভুয়ো চালান, কখনো অন্য জেলার নদী ঘাটের চালান, কখনো রাস্তার গতিপথ পরিবর্তন ইত্যাদি ভাবে পাচার অব্যাহত। সেইরূপ পরিস্থিতির উপর পুলিশ নজরদারি বাড়িয়ে তোলে। সেই প্রেক্ষিতে সোমবার গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ডিস্ট্রিক্ট ইনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি দল রাতভর বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর অভিযান চালান। তদারকির সময় লক্ষ্য করেন যে ডাম্পারগুলি ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক উপর দিয়ে অতিরিক্ত বালি পরিবহন করছে। সে হিসেবে তাদের পিছনে তীব্র ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর অবশেষে মহম্মদবাজার-সাঁইথিয়া এক্স-ইন-এর কাছে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মুর্শিদাবাদগামী তিনটি বালি বোঝাই ডাম্পার (WB45 7515, WB57E 3876 এবং WB57E 5985) থামানো হয়। তিনজন চালক এবং তিন জন খালাসি সহ অতিরিক্ত বালি বোঝাই তিনটি ডাম্পার আটক করা হয়। তাদের কাছে কোনও ই-চালান বা বৈধ কাগজপত্র ছিল না। পুলিশ সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতরা সকলেই স্বীকার করেছেন যে মহম্মদ বাজারের ময়ূরাক্ষী নদীর তলদেশ থেকে এবং তিলপাড়ার অবৈধ বালি ঘাট থেকেই মূলত অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। অন্যান্য দিনের মতো মুর্শিদাবাদ জেলায় পরিবহন করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল ডাম্পার তিনটি। ডিএসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তী ধৃত চালক খালাসি সহ অবৈধ বালি ভর্তি ডাম্পার তিনটি মহম্মদবাজার থানার এন এইচ-II অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে মহম্মদ বাজার থানার ওসি কে তিনটি চালক, তিন সহকারী এবং তিনটি ডাম্পারের মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনের আওতায় তিনটি সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *