ত্যাগ, সংযম ও আত্মদানের উৎসব ঈদ উল আযহা’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয় জেলা ব্যাপী

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

প্রতি বছর আরবি মাসের ১০ ই জিলহজ ইদ উল আযহা উৎসব পালন করা হয় বিশ্বের সমস্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। দেশের পাশাপাশি বীরভূম জেলার বিভিন্ন স্থানে ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজন দলবদ্ধ ভাবে বা জামাতের সাথে নিজ নিজ এলাকার ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ইদ উল আযহা’র নামাজ আদায় করেন। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য জেলা সদর সিউড়ি ঈদগাহ ময়দান, খুষ্টিগিরীতে হজরত আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) এঁর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণ, পাথরচাপুড়িতে দাতা মেহবুব শাহ ওলীর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণ, লোকপুর থানার খন্নি গ্রামে হজরত সৈয়দ শাহ তাজ ওলীর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণ সহ বিভিন্ন স্থানে নামাজ আদায়ের চিত্র লক্ষ্য করা যায়। খুষ্টিগিরী দরগাহ শরীফের মোতাওয়াল্লী ও সাজ্জাদানেশীন পীর হজরত সৈয়দ শাহ হাফিজুর রহমান কেরমানী এই পবিত্র ঈদ উল আযহা প্রসঙ্গে বলেন― ঈদ-উল-আযহা উৎসব ― ত্যাগ, সংযম ও আত্মদানের উৎসব। ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহতালার আদেশ পালন তথা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজ প্রিয় পুত্রকে কোরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন। তাঁর আচরণে প্রমাণিত হয়েছিল পুত্রের ভালোবাসা থেকেও আল্লাহতালার প্রতি ভালোবাসা বড়। তাঁরই মহান ত্যাগের স্মৃতিতে মুসলিম জাতি প্রতি বছর ১০ই জিলহজ্জ্ব ঈদ-উল-আযহার নামাজ পাঠ করেন ও নিজ নিজ গৃহে পশু কোরবানী করেন। কোরবানীর পশুর গলায় ছুরি দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে গুপ্ত পশুত্বের গলায় ছুরি দিতে হবে; বিসর্জন দিতে হবে কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-পরনিন্দা-পরশ্রীকাতরতা। মানবতাবোধ-শৃঙ্খলাবোধ ও সম্প্রীতি রক্ষায় হতে হবে সচেষ্ট। তবেই সার্থক হবে উৎসর্গের উৎসব ― কোরবানী। বিশ্বময় বিরাজ করবে মহান আল্লাহপাকের মেহেরবানী। ঈদ-উল-আযহার নামাজ শেষে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের ও দূর দুরান্তের পুণ্যার্থীরা হজরতকে সালাম ও শ্রদ্ধা জানান। হজরত সাঈয়েদেনা শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) ও তাঁর বংশধরগনের মাজার শরীফ জিয়ারত করেন ভক্তেরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজকের ঈদ উৎসব পালিত হওয়ায় মসজিদের ইমাম শামসের আলম সাহেব দরগাহ শরীফের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অনুরূপভাবে পাথরচাপুড়িতে দাতা মেহবুব শাহ ওলী, খন্নি গ্রামে সৈয়দ শাহ তাজ ওলী, গাইসাড়া শরীফে বোখারী বাবার মাজার, নাকড়াকোন্দায় বুড়ো দোওয়ান সাহেব সহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পীর ওলীদের মাজার শরীফ জিয়ারত করার চিত্র দেখা যায় ভক্ত অনুরাগীবৃন্দদের মধ্যে। ঈদ-উল-আযহার নামাজ শেষে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের ও দূর দুরান্তের পুণ্যার্থীরা হজরতকে সালাম ও শ্রদ্ধা জানান। হজরত সাঈয়েদেনা শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানী (রহঃ) ও তাঁর বংশধরগনের মাজার শরীফ জিয়ারত করেন ভক্তেরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজকের ঈদ উৎসব পালিত হওয়ায় মসজিদের ইমাম শামসের আলম সাহেব দরগাহ শরীফের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।অনুরূপভাবে পাথরচাপুড়িতে দাতা মেহবুব শাহ ওলী, খন্নি গ্রামে সৈয়দ শাহ তাজ ওলী, গাইসাড়া শরীফে বোখারী বাবার মাজার, নাকড়াকোন্দায় বুড়ো দোওয়ান সাহেব সহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পীর ওলীদের মাজার শরীফ জিয়ারত করার চিত্র দেখা যায় ভক্ত অনুরাগীবৃন্দদের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *