নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ
বাল্য বিবাহ একটি প্রাচীন সমস্যা। সরকার নানা সময়ে নানা প্রয়াস নিলেও আইন করেও এই সমস্যার মুক্তি সেভাবে ঘটেনি। আজও জেলায় জেলায় বাল্য বিবাহ ও নাবালিকাদের গর্ভধারণের হার উর্ধমুখী। কোভিড পরবর্তী সময়ে এই প্রবণতা দিন দিন আরোও ভয়ঙ্কর হচ্ছে। তাই নেহেরু যুব কেন্দ্র ও ইউনিসেফ যৌথভাবে মানুষকে সচেতন করার কাজের উদ্যোগ নিলো। এবার প্রচারের মাধ্যম হল নাটক। বীরভূম জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে পরিবেশিত হলো ইয়ং নাট্য সংস্থার পথনাটক “মনের আলো”। নাটকে বাল্য বিবাহ সহ শিশুশ্রম, শিশু যৌন হেনস্থা ও নারী শক্তির বিকাশ প্রভৃতি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। খুবই সহজ সরল ভাষায় বিমল কুমার সোমের সুর ও সঙ্গীতে জমজমাট নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় নির্মল হাজরা। অভিনয়ে রয়েছে শ্রেষ্ঠা পৈতান্ডি, কমলিকা কাহার, অর্চিতা ধর, নিপা স্বর্ণকার, শম্পা দাস, ফুল মুখার্জী ও নির্মাল্য সোম। প্রত্যেকেই এরা সদ্য ১৮ বছর পেরোনো কলেজ পড়ুয়া। ২৯ ও ৩০ জুন এই দুই দিন জেলার এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে নাটকটি বহু দর্শকদের উপস্থিতিতে সাফল্যের সাথে পরিবেশিত হয়। দুইদিনে যে আটটি ব্লকে নাটকটি পরিবেশিত হয়, সেগুলি হলো
২৯জুন (সিউড়ি ১- নগরী উচ্চ বিদ্যালয়), (সিউড়ি ২ – মেটে গ্রাম, হরিনাম নাটমন্দির), (রাজনগর- কুশমাসোল আদিবাসী পাড়া),
(দুবরাজপুর- চিনপাই, নবারুণ সাংস্কৃতিক মঞ্চ)।
৩০জুন, (ময়ূরেশ্বর ১- গোয়ালা প্রাথমিক বিদ্যালয়)
(রামপুরহাট ১- খরবোনা আদিবাসী পাড়া,) (রামপুরহাট ২- বেজুরী শিব মন্দির প্রাঙ্গণ), (ময়ূরেশ্বর ২- কলেশ্বর শিব মন্দির প্রাঙ্গণ)।
প্রতিটি স্থানেই পঞ্চায়ের, ব্লক, স্তরের প্রতিনিধি, সমাজসেবী ও সংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপিস্থিত ছিলেন তাঁরা সকলেই নাটকটির প্রশংসা করেন। সাধারণ দর্শক নাটক দেখে সকলেই অভিভূত।