“বন্ধুত্বের বন্ধন থাক অটুট”– প্রায় চার দশক পর ৩২ জন বন্ধুর মহামিলন উৎসব বীরভূমের দুবরাজপুরে

শম্ভুনাথ সেনঃ

‘সম্পর্কই সম্পদ”। প্রায় ৪ দশক পরেও বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখার এক অভিনব ভাবনা! বীরভূমের “দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠে” ১৯৮৫ সালে যারা মাধ্যমিক পাস করে, সেই সব ছাত্রদের এখন বয়স প্রায় ৫০ ছুঁই ছুঁই। কর্মসূত্রে, কেউ বা বাংলার বাইরে ভিন রাজ্যে, কেউ বা বিদেশে আবার কেউ কেউ দুবরাজপুরেই থাকেন। মালয়েশিয়ায় কর্মরত শুভাশিস রায়চৌধুরী, দিল্লিতে সুমন ভৌমিক, ব্যাঙ্গালোরে কর্মরত বিজন রায় তেমন ৩২ জন প্রাক্তন ছাত্র মিলিত হয়ে দু’দিনের পুনর্মিলন উৎসবের আয়োজন করে দুবরাজপুর ত্রিনয়নী অনুষ্ঠান ভবনে। অনুষ্ঠানের নানা কর্মসূচিতে তাদের সেই সময়ের শিক্ষকদের স্মারক সম্মাননা প্রদান করার আয়োজন করা হয়। ১৬ জুলাই দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠেই অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষক ও প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসব। প্রায় ৪ দশক আগের প্রাক্তনীরা এই অনুষ্ঠানে বিদ্যাপীঠের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, মধুসূদন মন্ডল, গোপাল মন্ডল, চন্ডীদাস দত্ত, সুধীর কুমার চ্যাটার্জী, শুভাশিস চট্টরাজ (বর্তমান প্রধান শিক্ষক) এমন ৬ জন শিক্ষক মহোদয়ের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন। কিন্তু আশি থেকে নব্বই বয়সী যে সকল শিক্ষক মহাশয়রা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি তেমন অনুপম দত্ত, হৃদয় কুমার সাহা, ষষ্ঠীকিংকর সাহানা, প্রফুল্ল কুমার রুজ এই চারজন শিক্ষক মহোদয়ের বাড়িতে গিয়ে এই সম্মাননা প্রদান করে প্রাক্তনীরা। সকল শিক্ষকদের হাতেই তুলে দেওয়া হয় সারদা মায়ের ছবি সম্বলিত স্মারক, শাল ও মিষ্টি। পা ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন প্রাক্তন ছাত্ররা। আনন্দঘন সেই মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়। বিস্মৃতির আড়ালে থাকা গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয় এই মহামিলনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *