শম্ভুনাথ সেনঃ
করোনা কালে পাঠ বিমুখ হয়েছে পড়ুয়ারা। ছিল ঘরবন্দী। বছর দুয়েক বিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন। হারিয়ে ফেলেছে পড়াশোনার অভ্যাস। খুব সম্প্রতি আবার স্কুল খুলেছে। শুরু হয়েছে পঠন-পাঠন। তেমন সময়ে পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে “পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন”। কচিকাঁচাদের জড়তা কাটাতে পড়াশুনার অভ্যাস ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সারা রাজ্যের সাথে ১৯ জুলাই বীরভূম জেলা জুড়েও অনুষ্ঠিত হয় “পাঠ উৎসব”-রিডিং ফেস্টিভ্যাল। জেলায় অন্তত ২,৪০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ পড়ুয়া এই উৎসবে অংশ নেয়। সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর এই তিন মহকুমার ৩২ টি চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে এই পাঠ উৎসব পালনের খবর পাওয়া গেছে। দুবরাজপুর ব্লকের পণ্ডিতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং গড়গড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই ছবি ধরা পড়েছে জেলার সেরা সাপ্তাহিকী “নয়াপ্রজন্মে’র” পাতায়। প্রাথমিক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গল্প বলা, গল্প পাঠ, ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, বসে আঁকো এমন নানান সূচি নিয়ে চলে এই পাঠ উৎসব। সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষকে যুক্ত করা হয় অনুষ্ঠানে। শিক্ষক- শিক্ষিকা ছাড়াও এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবকরা, অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী থেকে শিক্ষা অনুরাগী মানুষজন। গড়গড়া জগদীশচন্দ্র স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৈকত ঘোষ, ছিলেন দুই শিক্ষাবন্ধু নবকুমার গড়াই ও অনিমা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া মেজিয়া গভমেন্ট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ রবিন ঘোষ। এই ব্লকেরই পণ্ডিতপুর কাশিদাস নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে উৎসাহের সঙ্গে পাঠ উৎসবে অংশ নেয় পড়ুয়ারা। মাইক্রোফোনের সামনে ভয় মুক্ত হয়ে সাবলীলভাবে আবৃত্তি, নৃত্য, গল্পবলা, ইংরেজি পাঠে নজর কাড়ে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিক্ষাবন্ধু সন্তোষ পাল।