সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
২৭ জুলাই সূচপুর দিবস। ২০০০ সালের আজকের দিনেই নানুরের বাসাপাড়ায় ১১ জন ক্ষেতমজুরকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। নিহতরা সকলেই দলীয় সদস্য দাবি জানিয়ে জোর প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই থেকে প্রতি বছর আজকের দিনটিকে শহিদ দিবস পালন করে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রতি বছর উপস্থিত থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবছরের স্মরণ সভায় অনুপস্থিত। এদিন নিহত ১১ জনের শহিদবেদিতে মাল্যদান, কোরাণ পাঠ এবং শহিদ-তর্পণ করা হয়। সকাল থেকেই নানুরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান জানান, “আজকের শহিদ দিবসে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদ এর মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, কাজল শেখ সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত তৃণমূল সুপ্রিমো তথা তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে সূচপুর দিবস পালন শুরু করেন। যার পোশাকি নাম নানুর গণহত্যা দিবস। ২০০০ সালে ১১ জনকে হত্যার খবর পাওয়া মাত্র সেদিন সোজা দিল্লি থেকে নানুরে ছুটে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর প্রতি বছর দিনটিতে নানুরে এসে শহিদ-তর্পণ করতেন তিনি। কিন্তু রাজ্যে সরকারে পালাবদলের দু-বছর আগে থেকেই তিনি আর এই শহিদ দিবসে আসেন না, শেষ এসেছেন ২০০৯ সালে। যা নিয়ে সমালোচকদের মন্তব্য, সহানুভূতি আদায় করার পর থেকে আর আসেন না। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো না এলেও ফিরহাদ হাকিম সহ রাজ্য ও জেলা তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতৃত্ব শহিদ দিবস পালন করতেন। উপস্থিত থাকতেন অনুব্রত মণ্ডলও। কিন্তু এবারের শহীদ দিবস একেবারে ক্ষীণ! ফলে আরও ভ্রু কুঁচকেছেন সমালোচক থেকে বিরোধীরা।