শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের মাটিটাই আলাদা। আর এই রাঙামাটির টানেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্য সাধনায় বেছে নিয়েছিলেন এই বীরভূমের শান্তিনিকেতনকে। এই মাটিতে এসেছিলেন চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। একজন খ্যাতিমান ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫২ তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭-৮ আগস্ট বীরভূমের সদর সিউড়িতে সরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “মাটি নিয়ে খেলা কর্মশালা”। প.ব. শিশু-কিশোর অ্যাকাডেমীর আয়োজনে, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় সিউড়ি সিধু কানু মঞ্চে জেলার ১০-১৬ বছর বয়সী ৪৫ জন আগ্রহী শিশু-কিশোর এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দেয়। ৭ আগষ্ট এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বীরভূম জেলা সমাহর্তা বিধান রায়। উপস্থিত ছিলেন শিশু কিশোর অ্যাকাডেমীর সচিব মন্দ্রাকান্তা মহলনাবিস, বীরভূম জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী, প্রশিক্ষক সৌমেন কর, সারথি দাস প্রমুখ। উল্লেখ্য, রাজ্য শিশু কিশোর একাডেমী রাজ্যের মধ্যে এবার বীরভূম জেলাকে মাটি নিয়ে খেলা প্রশিক্ষণ কর্মশালার জন্য বেছে নিয়েছে। জেলাশাসক এজন্য এদিন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি জানান জেলার শিশু কিশোর মনে শিল্পের বিকাশের জন্য আরো উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ইদানিং পড়ুয়ারা খুব বেশি মোবাইল মুখী হয়ে পড়েছে। হারিয়ে যাচ্ছে হাতে কলমে কাজ করার আগ্রহ। তেমন সময়ে মাটি নিয়ে খেলা এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মাটি দিয়ে নানা মূর্তি, খেলনা নির্মাণ করার প্রশিক্ষণ পেয়ে উৎসাহিত হয় পড়ুয়ারা। কাঁচা মাটি দ’লে প্রশিক্ষকদের সঙ্গে হাত লাগায় এই ক্ষুদে শিল্পীরা। কর্মশালার শেষ দিনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পীদের সামনে তুলে ধরা হয় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী। এদিন তাঁর লেখা বিখ্যাত “ক্ষীরের পুতুল” নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাট্যকর্মী নির্মল হাজরার নির্দেশনায় “সিউড়ি ইয়ং নাট্য সংস্থা’র” ৩৫ জন শিশু-কিশোর শিল্পী অভিনয়ে অংশ নেয়।