চন্দন চট্টোপাধ্যায়ঃ
অমর কথাশিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২৫ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়ে গেল গত ৩১ জুলাই, সিউড়ি লিজ ক্লাব শতবার্ষিকী সভাকক্ষে। আয়োজক ‘তারাশঙ্কর স্মৃতি সাহিত্য সমাজ। সভায় সাহিত্য ও রাজনীতির আলোকে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ মাননীয় আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় একসময় রাজ্য বিধান পরিষদের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘বিধান পরিষদে প্রদত্ত তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ গুলির একটি মুদ্রিত সংকলন প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এছাড়াও কথা সাহিত্যিকের সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে ভাবগম্ভীর বক্তব্য রাখেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাননীয় বিশ্বজিৎ রায় এবং অধ্যাপক নারায়ণ প্রসাদ ভট্টাচার্য। তারাশঙ্করের লেখা গানে ছিলেন অলোকা গাঙ্গুলী, অপরাজিতা রায়চৌধুরী, সুব্রত নন্দন ও তপন দে সরকার। তারাশঙ্কর বিষয়ক পাঠে ছিলেন অধীর গঁড়াই, নিতাই প্রসাদ ঘোষ, ও নীলমাধব রায়। সভার শেষপর্বে তারাশঙ্করের গল্প ‘ডাক হরকরা’ ও ‘শৈলজার ঘর’ অবলম্বনে নাটক পরিবেশন করে লাভপুরের ‘দিশারী’ এবং ‘নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন’-এর দুর্গাপুর শাখা। লাভপুর সহ বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও বালুরঘাট, কোলকাতা প্রভৃতি শহর থেকে আগত শতাধিক প্রতিনিধির যোগদানে মুখরিত এই সভায় আয়োজকদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সংস্থার সম্পাদক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘রাজ্য সরকার কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে তাঁর নামাঙ্কিত চেয়ার এবং তাঁর নামাঙ্কিত সরকারি পুরস্কার চালু করতে হবে’ আগামী পরিকল্পনা হিসেবে আগামী বছরের ৫ ও ৬ জানুয়ারি দুদিন ব্যাপী তারাশঙ্কর বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হবে বলে জানালেন দেবাশিসবাবু।