“উৎকর্ষ বিদ্যালয় অন্বেষণ” সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান বীরভূমের সিউড়িতে

শম্ভুনাথ সেনঃ

বুনিয়াদি শিক্ষার ভিত শক্ত করার উদ্দেশ্যে এবং পঠন-পাঠনের গতি ফিরিয়ে আনার লক্ষে রাজ্যের বুকে একমাত্র বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে “উৎকর্ষ বিদ্যালয় অন্বেষণ”। করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দু’বছর বন্ধ ছিল বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। পাঠবিমুখ হয়ে পড়েছে অনেক পড়ুয়া। পুনরায় স্কুল খুলতেই শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রীদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এবং পঠন পাঠন আগের মত ফিরিয়ে আনতে এই অভিযান শুরু হয়েছে। তার ভিত্তিতেই জেলার ৩২ টি চক্রের ২,৪০১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক-ছাত্রদের উপস্থিতি, নিয়মানুবর্তিতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খেলাধুলা, পাঠ মূল্যায়ন, পানীয় জলের ব্যবস্থা কিংবা কিচেন গার্ডেন এমন দশটি নির্দেশিকার ভিত্তিতে এর মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। গত ১০ আগষ্ট সিউড়ি বিদ্যাসাগর ভবনে প্রতি চক্র থেকে একটি করে বিদ্যালয়কে জুলাই মাসের নিরিখে এই “উৎকর্ষ বিদ্যালয় অন্বেষণে” পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। দুবরাজপুর চক্রের ‘গড়গড়া জগদীশ চন্দ্র ঘোষ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়’, খয়রাশোল দক্ষিণ চক্রের পলাশবন প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিউড়ি কেন্দ্রীয় চক্রের সরোজবাসিনী শিশু ভবন এমন ৩২টি চক্রের ৩২ টি স্কুলকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।স্বীকৃতি স্বরূপ দেওয়া হয় সম্মাননা ও শংসাপত্র ।দেওয়া হয় একটি করে আমলকি গাছের চারা। প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে দুজন করে ছাত্র-ছাত্রী সহ বিদ্যালয়ের দুজন করে শিক্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিন এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সম্মাননা ও শংসাপত্র তুলে দেন বীরভূমের জেলা সমাহর্তা বিধান রায়। উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি ডঃ প্রলয় নায়েক, জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) সমরেন্দ্রনাথ সাঁতরা, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুপ্রিয় দাস, সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক অভিজিৎ সাহা, সহ শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *