শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মোৎসর্গ দিবস পালন, মুরারই এলাকায়

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট, ফাঁসি হয়েছিল শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর। বাংলা তথা ভারত হারিয়েছিল এক আদ্যন্ত নির্ভীক সন্তানকে। স্বাধীনতার স্বপ্নে যিনি মৃত্যু ভয়কেও বশ করেছিলেন। এমনকি, ফাঁসির মঞ্চে তাঁর শেষ কথা চমকে দিয়েছিল উপস্থিত সকলকে। ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল বিহারের মুজফ্ফরপুরে ইওরোপিয়ান ক্লাবের সামনে বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে বোমা ছুড়ে হত্যা করতে গিয়েছিলেন অত্যাচারী ব্রিটিশ বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড সাহেবকে। সেই দিন ঐ গাড়িতে কিংসফোর্ড না থাকায় কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত সেই বোমার আঘাতে দুই ইংরেজ মহিলার মৃত্যু হয়। প্রফুল্ল চাকি আত্যহত্যা করলেও ক্ষুদিরাম ধরা পড়েছিলেন ব্রিটিশদের হাতে। বিচারে তাঁর ফাঁসির রায় শুনে ও মুখে ছিল হাসি। ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মেদিনীপুর জেলার মোহবনী গ্রামে জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। মৃত্যুর এত বছর পরেও স্বাধীন ভারতের মানুষের মনে যিনি আজও অমর। সেই ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের আপসহীন বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মোৎসর্গ দিবস পালন করল এসইউসিআই কমিউনিস্ট প্রভাবিত ছাত্র সংগঠন এআইডিএস ও, যুব সংগঠন এআইডিওয়াইও এবং মহিলা সংগঠন এআইএমএসএস-এর পক্ষ থেকে, ১১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার মুরারই এলাকায়। এদিন নতুন বাজার মোড়ে শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। ক্ষুদিরাম বসুর জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করে সংক্ষিপ্ত সভা ও প্রভাতফেরী করা হয়। এদিন অনুষ্ঠানের নেতৃত্বে ছিলেন এআইডিএস ও র লোকাল সম্পাদক কাঞ্চন রবিদাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *