বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড ও নয়া মোড়

সন্তোষ পালঃ

বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ১১ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পরই নতুন মোড় সিবিআইয়ের। জেলা সভাপতি গ্রেপ্তার হতেই সিবিআই এর প্রতিনিধিরা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর বয়ান রেকর্ড করলো। পাশাপাশি ছুটিতে থাকা বোলপুর মহাকুমা হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মুর্মূ কেউ নোটিশ পাঠানো হয়। উল্লেখ্য সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে রিপোর্টের পরেও কিভাবে অনুব্রত মন্ডলের বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করল এবং কারই নির্দেশে সাদা কাগজে লিখে অনুব্রত মণ্ডলকে বেড রেস্টের জন্য বলা হলো এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। বীরভূমে সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হতেই সুনসান বোলপুর তৃণমূল কংগ্রেস অফিস। জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মিছিল বের হয়। উল্লেখ্য একজন সাধারণ ব্যবসাদার থেকে কি করে একজন অন্যতম নেতা তথা তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতি কাছের মানুষ হলেন এ ইতিহাস। একসময় কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। পরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেন। ২০০০ সালে নানুরের সূচপুরে সিপিএমের অর্তকী আক্রমণে এগার জন কৃষক প্রাণ হারান। এই সময় অনুব্রত মন্ডল তৃণমূল কংগ্রেসের একজন লড়াকু নেতা হিসাবে পরিচিত লাভ করেন এবং মমতা ব্যানার্জি নজরে আসেন। তারপর থেকেই ক্রমাগত উত্থান ও তৃণমূল জেলা সভাপতি পদে এখনো পর্যন্ত আসীন রয়েছেন। তবে দিন যত যাচ্ছে তত ফিকে হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের সাংগঠনিক রূপ। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে বহু গোপন তথ্য পায়। এর ভিত্তিতে অনুব্রত মণ্ডলের দুই ঘনিষ্ঠ নেতা কেরিম খান ও টুলু মন্ডলের বাড়িতে দিনকয়েক আগে হানা দেয় সিবিআই ও ই ডি। অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে জেরা করছে সিবিআই। ১২ দিনের সিবিআইয়ের হেফাজতে অনেক তথ্য হাতে আসবে বলে মনে করছেন অনেকেই। হয়তো আগামী দিনে জিজ্ঞাসাবাদে পর আরও নতুন মোড় নেবে গরু পাচার কাণ্ডে ঘটনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *