বীরভূমের সিউড়িতে “সংস্কার ভারতীর” আয়োজনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে “কৃষ্ণ সাজো” প্রতিযোগিতা

শম্ভুনাথ সেনঃ

আজ জন্মাষ্টমী। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকলের মধ্যেই বিরাজমান, আর এই ভাবনায় সর্বভারতীয় সাংস্কৃতিক সংস্থা সংস্কার ভারতীর উদ্যোগে সিউড়ি পাইকপাড়া সরস্বতী শিশু মন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো “কৃষ্ণ সাজো” প্রতিযোগিতা। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনকে স্মরণে রেখে বিভিন্ন বয়সী শিশুদের নিয়ে কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতা দেখতে উৎসাহ ছিল চোখের পড়ার মতো। খুদে কৃষ্ণদের দেখার জন্য দর্শক আসন ছিল পরিপূর্ণ। এই খুদে শিল্পীরা কেউ বা সাজে বংশীধারী,কেউ সুদর্শন চক্রধারী, কেউবা গোঠের রাখল,ননীচোরা থেকে বাল গোপাল। কৃষ্ণ সাজে শিশুদের অভিনয় ছিল নজর কারা। সংস্কার ভারতীর এই কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগে মোট ১০০ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। শ্রীকৃষ্ণের নানা উক্তি, ভাব, ভঙ্গিমায় শিশুদের মধ্যে কৃষ্ণের নানারূপ দেখে আনন্দিত হয় উপস্থিত শ্রোতা দর্শকরা। প্রতিযোগিতাটি দুটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। ‘ক’ বিভাগে প্রথম স্থান পায় ঋতম দাস। দ্বিতীয় মনস্বিতা ঘোষ। যুগ্ম ভাবে তৃতীয় ঋতন্যা চ্যাটার্জী, আমান মিত্র। অন্যদিকে ‘খ’ বিভাগে প্রথম স্থানাধিকারী তনুশ্রী লোহার। দ্বিতীয় শ্রীজিতা চ্যাটার্জী। তৃতীয় স্থানে সৃঞ্জন চ্যাটার্জী। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক প্রতিযোগিকে শংসাপত্র ও উপহার তুলে দেন অতিথিরা। শ্রীকৃষ্ণের পায়ে ফুল নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিচারক শিল্পী সারথি দাস, নাট্য ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈকত সেনগুপ্ত। উল্লেখ্য, আজকের এই কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতায় জাতি, ধর্ম, বর্নের বিভেদ রেখা মুছে দিয়ে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী অভিভাবকরা তাদের শিশুদের শ্রীকৃষ্ণ  সাজিয়ে নিয়ে আসেন প্রতিযোগিতার মঞ্চে। সংস্থার সম্পাদক সুদীপ কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন– ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ প্রতিটি শিশুমনে প্রতিফলিত হোক এটাই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।” জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ১০০ শিশুর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি অন্য মাত্রা নিয়ে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *