দীপককুমার দাসঃ
মহঃবাজার থানার আঙারগড়িয়া পঞ্চায়েতের আসেঙ্গা গ্রামে পূজিত হন দুর্গার সঙ্গে থাকা দুহাতের গণেশ। দীর্ঘদিন ধরে বংশপরম্পরায় এমনই রীতি বজায় রেখে এই পুজো সম্পন্ন হচ্ছে। গনেশ এখানে চর্তুভূজা নন, দ্বিভুজা। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো। আসেঙ্গা গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা এই পুজোর দ্বায়িত্বে থাকলেও গ্রামবাসীরা চারদিন এখানেই জড়ো হন ও পুজোয় মেতে থাকেন। আসেঙ্গা গ্রামে ভট্টাচার্য পরিবারের পুজোই একমাত্র পুজো। এখানে রয়েছে বিষ্ণুর শালগ্রাম শিলা ও শিবের প্রস্তরমূর্তি। আগে একটি মাটির বাড়িতে পুজো হত। বেশ কিছু বছর আগে বন্যায় সেই বাড়ি ভেঙে যায়। পরে কিছুটা দূরে দুর্গার পাকা মন্দির তৈরি হয়। সেখানেই পূজিত হন দেবী দশভূজা। বিষ্ণু, শিবের সাথে সারাবছর দুর্গা ও কালির নিত্যপুজো হয় ও নিত্য ভোগ নিবেদন করা হয় এখানে। বর্তমানে এই পুজোর অংশীদার ভট্টাচার্য পরিবারের ১২ জন। ১২ বছর পরপর পালাক্রমে একেক অংশীদার পুজোর দ্বায়িত্ব পালন করেন। এই বছর অসীম ভট্টাচার্যের দায়িত্ব পুজোর। ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্য অসীম ভট্টাচার্য, সমীর ভট্টাচার্য ও কল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, পারিবারিক পুজো হলেও এই পুজোতে গ্রামের সমস্ত লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এখানে গনেশকে বিষ্ণু রূপে পুজো করা হয়। তাই এখানে গনেশের চার হাতের বদলে দুই হাত। শিব, কালি ও বিষ্ণু কেন্দ্রিক পুজোর আবহে দুর্গা পুজোর আসল মাহাত্ম্য নিহিত রয়েছে।