
দীপককুমার দাসঃ
বলিদান হয় না তবু বাজে বলিদানের বাজনা। আর সেই বাজনা বাজতে শুরু করলেই দড়িতে বেঁধে ঝোলানো বিভিন্ন ফল যেমন কলা, আপেল,শশা, নাসপাতি, বাতাবি, কদমা, নাড়ু পাড়ার জন্য শুরু হয় কাড়াকাড়ি। আর মহাষ্টমীর সন্ধিপুজোর ক্ষণে এমন দৃশ্য দেখা যায় মহঃবাজার পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর গ্রামের রাখহরি সূত্রধরের পুজোয়। এখানে বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। তাই বলিদান হয় না। কিছুটা দূরেই আরেকটা মন্দির। এলাকাবাসীরা সেই খানের দুর্গাকে “বাংলা মা” বলে জানেন। সেখানের বলিদানের সময় বাজনা বাজলেই রাখহরি সূত্রধরের পুজোর বাজনাও বাজতে লাগে। আর সেই সময় দুই তিথির সন্ধিক্ষণে বাজনা বাজলেই যুবক যুবতীদের মধ্যে চলে দড়িতে টাঙানো বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াই। যার ভাগ্যে যেটা জুটে সেইটাকেই প্রসাদ বলে গ্রহণ করেন।রঘুনাথপুরে বলা যায় এক উঠোনেই দু দুটি দুর্গার পুজো হয়। একটি পুজো গদাধর সূত্রধরের পরিবারের অপরটি রাখহরি সূত্রধর তথা মনসা সূত্রধরের। মনসা সূত্রধরের বাড়ির এই পুজোর সূচনা করেছিলেন তার বাবা ঋষিকেশ সূত্রধর। পরে কয়েকবছর পর এই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর আবার শুরু করেন মনসা সূত্রধর। এতদিন টিনের চালা মন্দিরে পুজো হতো। এবার সেই টিনের চালা বাড়ি ভেঙে নতুন মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সেই মন্দিরেই এবার দুর্গা পুজো হতে চলেছে।