শম্ভুনাথ সেনঃ
রাজ্য “প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ” আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষা আজ ১৭ অক্টোবর শেষ হল। সারা রাজ্যে এবার ২,২০০ টি কেন্দ্রে ১,৫২,২০৪ জন পরীক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বীরভূমে ৫৩ টি কেন্দ্রে ৫ টি বিষয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫,৩৪৩ জন। উল্লেখ্য, দুবরাজপুর শ্রী শ্রী সারদেশ্বরী বিদ্যমন্দিরে এবার ২টি কেন্দ্রে মোট ১২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন সেন্টার ইনচার্জ সুজিত কুমার দত্ত। ১২ অক্টোবর, পরীক্ষার প্রথম দিনেই বিদ্যামন্দিরের গেটে উপস্থিত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। উল্লেখ্য ৩ দশক আগে ১৯৯২ সাল থেকে কিছু শিক্ষানুরাগী মানুষের সহযোগিতা নিয়ে দুবরাজপুরে বেসরকারি পর্যায়ে এই বৃত্তি পরীক্ষা ব্যবস্থা শুরু হয়। যাঁরা এই বৃত্তি পরীক্ষা শুরু করেছিলেন তাঁদের অনেকেই এখন প্রয়াত। তৎকালীন সংগঠক তথা আহ্বায়ক মুক্তি ঘোষাল, বিজন বিহারী চক্রবর্তী, সুধীর কুমার পাল, বিজন বিহারী দে প্রমুখ প্রয়াত গুণীজনদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এদিন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও নীরবতা পালন করা হয়।
সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা শিক্ষক আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থাটা চলছে ছাত্র দরদী মানুষের স্বেচ্ছাশ্রম ও শিক্ষানুরাগীদের আর্থিক সহযোগিতায়। প্রসঙ্গত বলা যায় একটা সময় ছিল সরকারি উদ্যোগেই চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াদের নিয়ে এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে “প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ” বেসরকারিভাবে এই বৃত্তি পরীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং তা আজও চলছে। অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী মানুষজনদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়।