সন্তোষ পাল ও সেখ ওলি মহম্মদঃ
আজ ৩০ অক্টোবর হেতমপুর রাজবাটি হাজারদুয়ারি রঞ্জন প্যালেসে একটি মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয় । কবিতা গান, নাচ, কথার মধ্য দিয়ে সারাদিনটি কাটান প্রায় শতাধিক কবি সাহিত্যিক যারা বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ও বীরভূমের বাইরে থেকে এসেছিলেন। উল্লেখ্য হেতমপুরের রাজমাতা পূর্ণিমা দেবীর জন্মদিন ছিল সাতাশ অক্টোবর এবার তিনি ৭৫ বছরে পদার্পণ করেছেন তার জন্মদিন কে সামনে রেখেই এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে। রাজমাতা পূর্ণিমা দেবী ছাড়াও তাঁর কন্যাদ্বয় রাজকন্যা অনুরাধা এবং রাজকন্যা কুমারী বৈশাখী চক্রবর্তী পুরো অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক ছিলেন। বিশিষ্ট কবি সোমনাথ দাস চান্ডল্য, বিশিষ্ট কবি চুনীলাল মুখোপাধ্যায় রাজমাতা ও তার কন্যাদ্বয় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। শুরুতেই রাজকন্যা বৈশাখী চক্রবর্তী স্বাগত ভাষণে বলেন হেতমপুর এর রাজকাহিনী সর্বজনবিদিত এখানকার রঞ্জন প্যালেস, রঞ্জন অপেরা হেতমপুর কলেজ সহ নানান গল্প কাহিনী ও যে বাস্তবতা রয়েছে তা তুলে ধরেন। এরপর উপস্থিত কবি সাহিত্যিকদের সম্মাননা ও স্মারক প্রদান করা হয়। উপস্থিত অতিথিগণ হেতমপুর রাজাদের কথা তুলে ধরেন এবং বর্তমান সাহিত্যিকদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেন। অজিত চৌধুরী, সৈয়দ সৈফূদ্দিন, দেবযানী দাস সিনহা, শিবপ্রসাদ খাঁ, জ্যোতি সেন, প্রতিভা গাঙ্গুলী, অরুণ বাউরী, কোয়েলী ঘোষ, মধুমিতা সরকার শুভ্রা পাণ্ডেসহ প্রায় ১০০ জন কবি সাহিত্যিক এ দিন কবিতা পাঠ করেন, কেউ বা আবৃত্তি বা গান, কেউ বা নৃত্য পরিবেশন করে অনুষ্ঠানটিকে প্রাঞ্জল করে তোলেন। মধ্যাহ্নভোজনের পর বিকেল পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান। সঞ্চালনায় ছিলেন কবিতা এবং কবিতা পত্রিকার সম্পাদক তথা কথা সাহিত্যিক ফজজুল হক ও আলোর বেণু পত্রিকার সম্পাদিকা রীনা কবিরাজ।