দীপককুমার দাসঃ
কয়েকদিন ধরে শীত কিছুটা বাড়ার ফলে বেড়েছে খেজুর রসের পরিমাণ। ফলে শিউলিরা ঐ রস দিয়ে আরো বেশি নলেন গুড় ও লবাদ তৈরি করলেও সেভাবে দেখা নেই ক্রেতাদের। সিউড়ির তিলপাড়া সংলগ্ন এলাকা ও খয়রাকুড়ি এলাকায় এবার পাঁচটি শিউলির দল এসেছে। সবাই এসেছেন নদীয়ার বেথুয়াডহরী থেকে। প্রতিটি দল ১৫০-২০০ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় ও লবাদ তৈরি করছেন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত বেশি পড়তেই পরিমাণ বেড়েছে খেজুর রসের। আর সেই খেজুর রস ফুটিয়ে তার থেকে নলেন গুড় ও লবাদ তৈরি করছেন শিউলিরা। নলেনগুড় বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০টাকা কিলো হিসেবে। আর লবাদ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০টাকা কেজি দরে। মতিহার শেখ, মুক্তার হোসেন শেখ, জানা শেখরা এবারও এসেছেন। মতিহার শেখ জানান, এবার ১৫০গাছ থেকে খেজুর রস নিয়ে গুড় ও লবাদ তৈরি করছি। প্রতিদিন এখন যা রস পাওয়া যায় তাতে ৩০কেজি গুড় বা লবাদ তৈরি করা হয়। পরপর দুবছর করোণার কারণে সেভাবে বেচাকেনা হয়নি। আর এবার বৃষ্টির অভাবে চাষবাস হলো না, ধান হয়নি। মানুষের হাতে পয়সা কম। তাই গুড় ও লবাদ সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। একই বক্তব্য মুক্তার হোসেন শেখের। তিনি বলেন শীতে রসের পরিমাণ বাড়ে ও গুড়ের স্বাদ ভালো হয়। কিন্তু এবার চাষ হয়নি, তাই চাহিদা ভালো নেই।