দীপক কুমার দাসঃ
শুক্রবার দুপুরে বোলপুরে শুরু হলো পৌষমেলা। ছয়দিন ব্যাপী এই পৌষ মেলা চলবে। এদিন এই পৌষমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, বিধায়ক রাণা সিংহ সহ প্রশাসনের কর্তারা। আগে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা বসতো পূর্বপল্লীর মাঠে। বিশ্বভারতীর আয়োজনে এই মেলা পরিচালিত হতো। ২০১৯ সালে শেষবার শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে হয় বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। এরপর কোভিড অথবা অন্যান্য বিভিন্ন কারণে এই পৌষ মেলা বন্ধ রয়েছে। চলতি বছর প্রথম থেকে পূর্ব পল্লীর মাঠে পৌষ মেলা হবে এমন আশা করা হলেও শেষমেষ সেই আশায় জল ঢেলেছে বিশ্বভারতী। তবে বিশ্বভারতীর মেলা নিয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় বিকল্প পৌষ মেলার আয়োজন করার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার শুরু হল বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষ মেলা। বীরভূম জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই বিকল্প পৌষ মেলার উদ্বোধন করা হয়। এই বছর বিকল্প পৌষ মেলা চলবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট ছয় দিনের জন্য হবে এই পৌষ মেলা। পৌষ মেলায় এই বছর আগামী শনিবার বাজি পোড়ানো হবে বলে জানা যাচ্ছে মেলা উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে। এবছর মোট তিনটি মাঠ নিয়ে হচ্ছে এই মেলা। ডাকবাংলো মাঠ, টাউন ক্লাব মাঠ এবং স্টেডিয়াম মাঠকে জুড়ে মেলার আয়তন অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিদিনই নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে মূল মঞ্চে। নানা ধরনের নাগরদোলা, বহু হস্তশিল্পের স্টল, জামা কাপড়ের ষ্টল, ইমিটেশন, হরেকরকম মালের রকমারি ষ্টলের পাশাপাশি খাবারের বহু দোকান বসেছে এই মেলায়। বিশ্বভারতীর উদ্যোগে পৌষ মেলা না হলেও এই বিকল্প পৌষমেলা ঘিরে মানুষের ভিড় প্রথম দিন থেকেই। প্রথম দিনে বহু মানুষ ভিড় করেছেন এই মেলায়। প্রথম দিন থেকেই এই মেলা হয়ে উঠেছে এককথায় জমজমাট।