সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গত ২ জানুয়ারি কলকাতার নজরুল মঞ্চে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির শুভ সূচনা হয় । সেই সম্পর্কে আজ বুধবার বীরভূম জেলার সদর সিউরি তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক করলেন মন্ত্রি চন্দ্রনাথ সিনহা, ডেপুটি স্পীকার আশীষ ব্যানার্জী সহ জেলার একাধিক বিধায়কদের উপস্থিতিতে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিদির সুরক্ষা কবচ প্রচার কার্য সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো মানুষের জন্য কাজ করা। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগেও আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেছি। বিগত ১১ বছরে আমরা বাংলায় উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির স্বর্ণযুগ নিয়ে আসার জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়ে এসেছি। জনগণের জন্য কাজ করার ঐতিহ্যকে বজায় রেখে ২ জানুয়ারি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নজরুল মঞ্চে দিদির সুরক্ষা কবচ প্রচার কার্যটি চালু করেন। প্রচার কার্যটি মূলত, বাংলা সমস্ত পরিবার যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৬টি ক্ষেত্রের ১৫ টি প্রকল্প দ্বারা সুরক্ষিত থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে। এই ১৫ টি প্রকল্প বঙ্গবাসীকে তাদের সমগ্র জীবনকাল জুড়ে সুরক্ষিত করে। ৬ টি মূল ক্ষেত্র হলো খাদ্য, আবাস, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, উপার্জন। সুরক্ষা কবজের আওতায় ১৫ টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে খাদ্য সাথী, বাংলার আবাস যোজনা, নিজ গৃহ নিজ ভূমি, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্য শ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কৃষক বন্ধু, মানবিক পেনশন, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, জয় বাংলা পেনশন প্রকল্প, বিধবা ভাতা এবং যুবশ্রী। সারাদেশে কোন রাজনৈতিক দল জনগণের কল্যাণে এত বড় পরিসরে প্রচার চালায়নি। প্রচারের উদ্দেশ্য হলো বাংলার প্রতিটি পরিবার যাতে বয়স, আর্থিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থান, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাসিন্দাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তৈরি করা সুরক্ষা কবজ পায়, তা নিশ্চিত করা। বাংলার প্রতিটি পরিবারকে রাজ্য সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে সুরক্ষিত করার জন্য সাধারণ মানুষের কি প্রতিক্রিয়া, তা জানারও ব্যবস্থা করা হবে।এই প্রচারকার্যটি ৬০ দিন ধরে চলবে এবং পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৩৩৪৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১২৫ টি নগরাঞ্চলে পৌঁছবে। কর্মসূচির মধ্যে সাংসদ, বিধায়ক, জেলার নেতা, জেলা পরিষদের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারা অঞ্চলে একদিন মডিউলের অংশ হিসেবে সেই এলাকায় কাটাবেন। জনগণকে সমস্যাগুলি সম্পর্কে বলার জন্য অনুরোধ করছি, যেন উপযুক্ত সমাধানের জন্য কাজ করতে পারা যায়। দিদির সুরক্ষা কবজের অধীনে প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে তাদের জ্ঞাত করা। দিদির দূতেরা বাংলার বাসিন্দাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠি, দিদির সুরক্ষা কবচের ওয়াল ক্যালেন্ডার এবং ডোর স্টিকার হস্তান্তর করবে। জনগণের কল্যাণ ও বাংলার উন্নতির জন্য প্রকল্পগুলো যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, সে ব্যাপারে জনগনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।