মেহের সেখঃ
লাভপুরের বড়গোগা গ্রামে মহাপ্রভুর আখড়ায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর শুভ পদার্পণ দিবস উপলক্ষে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও নিত্যানন্দের পদার্পণ দিবস উদযাপন করা শুরু হল। ১৫১০ খ্রিষ্টাব্দের ১ মাঘ কাটোয়ার কেশব ভারতীর কাছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সন্ন্যাস নেওয়ার পঞ্চম দিন তথা ৫ মাঘ লাভপুরের বড়গোগা গ্রামে এসেছিলেন বলেই এলাকার বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষেরা জানাচ্ছেন। পরবর্তীতে মহাপ্রভু যে স্থানটিতে ছিলেন সেখানে মহাপ্রভুর আখড়া গড়ে উঠেছিল। সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সাহিত্য ক্ষেত্রে বড়গোগা গ্রামে মহাপ্রভুর আখড়ার উল্লেখ রয়েছে। ২০ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯ টায় বড়গোগা গ্রামে মহাপ্রভুর আখড়া থেকে ফুল্লরা মহাপীঠ পর্যন্ত হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে পদব্রজে পরিক্রমা করে মহাপ্রভুর আখড়ার পাশে মূল মঞ্চে প্রথমে অতিথিদের বরণ করে পরবর্তী অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, ইস্কনের মহারাজ সারথী দাস মহাপ্রভু, লোককবি গণপতি ঘোষ, সমাজসেবী অমরচাঁদ কুন্ডু, নাট্যকর্মী মহাদেব দত্ত, তারাশঙ্করের ভাতুস্পুত্র বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজকর্মী প্রবীর পাঠক প্রমুখ। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর পদার্পণ দিবস উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তরুণ চক্রবর্তী এবং হিরন্ময় দে জানিয়েছেন— “বিধায়ক অভিজিৎ সিংহের পরামর্শে এবং তাঁরই হাত দিয়ে উদ্বোধনের মাধ্যমে এবছর থেকে বড়গোগা গ্রামে মহাপ্রভুর আখড়ায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং নিত্যানন্দের পদার্পণ দিবস উদযাপনের শুভ সূচনা ঘটলো। প্রতি বছর এই দিনটিতে তারা মহাপ্রভুর আখড়ায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর শুভ পদার্পণ দিবস উদযাপন করবে।”