
মেহের সেখঃ

সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য সাধনার মধ্যে দিয়ে যেমন বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন তেমনি লাভপুরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে লাভপুরকে অন্ততঃ একশো বছর এগিয়ে দিয়ে গেছেন। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘তারিণী মাঝি ‘ ছোটগল্প সহ একাধিক সাহিত্য ক্ষেত্রে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর গুনুটিয়া ফেরিঘাটে মাঝিদের নৌকা পারাপারের প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে। এই গুনুটিয়া ফেরিঘাটে দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি তুলেছিলেন স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয়দের দাবি মেনে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে এখানে সেতুর শিলান্যাস করা হলেও সরকার পরিবর্তনের পর নানারকম জটিলতায় সেতু নির্মাণের কাজ থমকে গিয়েছিল। পুনরায় ২০১৯ সালে অন্য একটি সংস্থাকে দিয়ে সেতুর কাজের বরাদ দেওয়া হয় এবং তারা নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে সে কাজ সম্পন্ন করেন। ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরের সভা থেকে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর লাভপুর- রামনগর-কোটাসুর রাস্তার উপর গুনুটিয়া ফেরিঘাটে সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত এই ‘তারাশঙ্কর সেতু’র শুভ উদ্বোধন করেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ প্রমুখ ।
