এমেচার যাত্রা প্রতিযোগিতায় “নটী বিনোদিনী ” সাঁইথিয়ায়

বিজয়কুমার দাসঃ

যাত্রায় লোকশিক্ষে হয় শিরোনামের একটি হোয়াটস গ্রুপের উদ্যোগে সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী যাত্রা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের শুভ সূচনা হল সাঁইথিয়া রবীন্দ্র ভবনে। ১২ ফেব্রুয়ারি নটী বিনোদিনীর প্রয়াণ দিবসে সাধারণ রঙ্গালয়ের ১৫০ বছরে সাঁইথিয়া রবীন্দ্র ভবনে যাত্রা প্রতিযোগিতার উদবোধনে আয়োজকদের পক্ষে সভাপতি আনন্দ ব্যানার্জী,সম্পাদক সোমনাথ প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ প্রজ্বলনের পর উদ্যোক্তারা জানালেন, যাত্রার উন্নয়নের স্বার্থে ও ব্যাপক প্রসারে এই আয়োজন। এই সন্ধ্যায় নন্দিকেশ্বরী যাত্রা সংস্থা পরিবেশন করল “নটী বিনোদিনী” যাত্রাপালা। রবীন্দ্র ভবন মঞ্চে এই সন্ধ্যায় বেজে উঠল যাত্রার কনসার্ট। নটী বিনোদিনী, গিরিশচন্দ্র, পরমপুরুষ রামকৃষ্ণ মঞ্চে এলেন। রসরাজ অমৃতলাল, দাশু নিয়োগী, গুর্মুখ রায়, রাঙাবাবুরা অভিনয়ে, সংলাপে উদ্ভাসিত হলেন মঞ্চে।বিনোদিনীর কণ্ঠে ধ্বনিত হল : যেন ঠাঁয় পাই তব চরণে…সাঁইথিয়া এবং সন্নিহিত অঞ্চলে একদা বহু যাত্রাদল থাকলেও নানা কারণে যাত্রাদলগুলি যখন প্রায় অবলুপ্ত তখন এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এই সন্ধ্যার যাত্রাপ্রেমী দর্শক।
বিভিন্ন চরিত্রে ধরম দেবাংশী (রামকৃষ্ণ), সুব্রত চট্টোপাধ্যায় (গিরিশচন্দ্র), সুদেব মন্ডল (রাঙাবাবু), উজ্জ্বল ভট্টাচার্য (রসরাজ), বিপ্লব মন্ডল (গুর্মুখ) মৌমিতা বিশ্বাস (বিনোদিনী) নিজ নিজ চরিত্রে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। গিরিশ, রামকৃষ্ণ, রাঙাবাবু, গুর্মুখ, বিনোদিনীরা এই সন্ধ্যায় সাধারণ রঙ্গালয়ের ১৫০ বছরে দর্শকদের সামনে অভিনয়ে, গানে তুলে ধরলেন বিনোদিনী থিয়েটার তথা স্টার থিয়েটার গড়ে ওঠার ইতিহাস। সব বয়সের দর্শকরা ছিলেন দর্শকাসনে। যাত্রাপালার আলো, আবহ, রূপসজ্জা (জিতেন সিংহ) ছিল বেশ ভাল। জনৈক দর্শক বললেন, বহুদিন পর যাত্রার কনসার্ট কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *