সাধক বামাক্ষ্যাপার ১৮৬ তম আবির্ভাব উৎসব ঘিরে তাঁর জন্মভিটা “আটলা”গ্রাম ও সাধনক্ষেত্র তারাপীঠ উৎসবে মাতোয়ারা

শম্ভুনাথ সেনঃ

সাধক বামাক্ষ্যাপা তামাম ভারতবাসীর কাছে তন্ত্রসাধক রূপে চিহ্নিত। আজ তাঁর ১৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জন্মভিটা বীরভূমের তারাপীঠ সংলগ্ন খরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের “আটলা” গ্রামে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলা ১২৪৪ সনের ফাল্গুন মাসের এমন এক শিবচতুর্দশী তিথিতে বামাক্ষ্যাপার জন্ম হয় তারাপীঠ সংলগ্ন “আটলা” গ্রামে। ১২৭৪ বঙ্গাব্দে মাত্র ৩০ বছর বয়সে ‘মা’ ‘মা’ ধ্বনী’ মূলমন্ত্রে বামাক্ষ্যাপা তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। আজ তাঁর জন্মভিটা আটলায় “বামদেব স্মৃতিরক্ষা সমিতির” উদ্যোগে সকাল থেকে শুরু হয়েছে তাঁর প্রতিকৃতি নিয়ে প্রভাতফেরী।গর্ভগৃহে সারাদিন ধরে চলে পূজা-পাঠ, দনাম-গান,উদয়াস্ত চণ্ডীপাঠ, হোমযজ্ঞ। বামদেবের জন্মোৎসবকে কেন্দ্র করে তীর্থক্ষেত্র তারাপীঠেও নামে ভক্তের ঢল। “বামদেব স্মৃতিরক্ষা সমিতির” উৎসব কমিটির সম্পাদক স্মৃতিময় চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনদিন ধরেই আটলায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সাধক বামদেবের উত্তরসূরি শুভেন্দু বিকাশ রায় বামদেবের জন্ম কথা ও আটলা গ্রামের নানা ইতিহাস উপস্থিত পর্যটকদের কাছে তুলে ধরেন। এদিন নানা পর্যটকদের সাথে নদীয়া জেলার রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার উপস্থিত ছিলেন। উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে দুপুরে প্রত্যেক ভক্ত পুণ্যার্থীদের সেবার ব্যবস্থা করা হয়।

ছবিতে সাংসদ জগন্নাথ সরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *