সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
পঞ্চায়েত ভোট যতই এগিয়ে আসছে বোমা পিস্তল ততোই প্রতিদিন প্রতিনিয়ত উদ্ধার হচ্ছে। বছর ভোর বোমার ঘটনা ঘটেই চলেছে জেলা জুড়ে। বগটুই, বাঁশজোড়, মাড়গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। বোমা পিস্তল উদ্ধার যেন রুটিন মাফিক কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেইরূপ আবারও বোমা উদ্ধ্বার বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার অন্তর্ভুক্ত তপন গ্রামে। ২১ ফেব্রুয়ারী ভোরে দুটি প্লাস্টিক বালতিতে ভর্তি অবস্থায় বোমা উদ্ধার ঘিরে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতর। মারগ্রাম থানার তপন গ্রামে বোমা উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তপন গ্রামে সিপিএম নেতা ইয়াকুব সেখের বাড়ির পাশে থেকে দুটি প্লাস্টিক বালতি থেকে আনুমানিক ৩০-৩৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। কিন্তু ইয়াকুব সেখের পরিবারের অভিযোগ, ইয়াকুব সিপিএম করে বলে তৃণমূলের লোকজন ভোর রাতে আজানের সময় বোমা গুলি রেখে যায়। তৃণমূলের দাবি আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। উভয় পক্ষ একসময় তৃণমূল দলে যুক্ত ছিল। বর্তমানে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ায় শুরু হয়েছে বাদ প্রতিবাদ। উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে পাড়ায় দুই বাচ্চার মধ্যে স্নানের সময় ঝগড়া থেকে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। স্থানীয় মহিলার দাবি ভোরে নামাজ পড়ার সময় উঠতেই বেশ কিছু কুকুরের চিৎকার। বাইরে বের হতেই দেখি কয়েক জন ব্যক্তি প্লাস্টিক বালতিতে কিছু রেখে চলে যাচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পরেই আবার পুলিশ আসে এবং সরাসরি সেই জায়গায় গিয়ে উপস্থিত হয়। এনিয়ে তৃণমূল এবং সিপিআইএম সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়েছে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপ।