সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৫০ মিনিটে শ্রীনিকেতন পল্লীশিক্ষা ভবনের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। সেখানে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, জেলার বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, সন্ন্যাসী চরণ মন্ডল, বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা সহ অন্যান্যরা। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নামার পরেই বিশ্বভারতীর রথীন্দ্র অতিথিগৃহে আসেন এবং বিশ্বভারতী লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে নৃত্যনাট্য ভানুসিংহের পদাবলী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। শুক্রবার সকাল ৯ টায় আম্রকুঞ্জে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সাথে থাকছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।দুদিনের সফর ঘিরে জ়েড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মীও মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিনেও একাধিক ড্রপ গেট, নজর ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসন।বিভিন্ন গেটে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, কর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রাখা হবে বলে জানা যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্বপল্লীর নিমতলা মাঠে বিবিসির ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ দেখানোর আয়োজন করলেও অনুমতি দেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই সাথে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের ও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে রাজনাথ সিং শান্তিনিকেতনে আসার পরপরই বিজেপি নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে জল্পনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিজেপি সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, বিজেপি একটা পরিবারের মতন, তাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে স্বাগত জানাতে এসেছেন সকলে। সমাবর্তনে যাদের আমন্ত্রণ আছে তারা সকলেই আসবেন। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, বিশ্বভারতীকে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির আখ্রা বানাবার চেষ্টা করছে। আগেরবারও সমাবর্তনে যখন প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন তখনোও একই অবস্থা হয়েছিল। বাংলাতে এই সংস্কৃতিই আনার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিশেষ উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের যুক্তি দেখিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবছর সমাবর্তন কেবলমাত্র ২০২১ সালের পড়ুয়াদের জন্য। এবার দেশিকোত্তম, গগন-অবন পুরস্কারও দেওয়া হচ্ছে না বলে খবর।