ইন্দ্রনীল সঙ্গীত একাডেমির মনোরম সঙ্গীত সন্ধ্যা মনোময় কণ্ঠে

নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ

বীরভূমের সিউড়ির ইন্দ্রনীল দত্ত নিজ দক্ষতায় গানের জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। জি বাংলার সারেগামার পর্ব পেরিয়ে সে জেলায় সঙ্গীত প্রজন্ম গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছে। গড়ে তুলেছে ইন্দ্রনীল সঙ্গীত একাডেমি। ৫ মার্চ সিউড়ি রবীন্দ্র সদনে ইন্দ্রনীল সঙ্গীত একাডেমির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপনের স্মরণীয় সঙ্গীত সন্ধ্যার আকর্ষণ ছিলেন বাংলা সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য। এই সঙ্গীত সন্ধ্যার প্রথম পর্বে স্মরণীয় এই সঙ্গীত সন্ধ্যার শুভ উদবোধন করলেন সমাজসেবী ও সংস্কৃতিমনষ্ক ব্যক্তি স্বপনকান্তি ঘোষ ও বিশিষ্ট সাহিত্যসেবক ও নাট্যজন বিজয়কুমার দাস। দুজনেই এমন স্মরণীয় সন্ধ্যা আয়োজনে ইন্দ্রনীল সঙ্গীত একাডেমির প্রাণপুরুষ সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল দত্তর এই সাঙ্গীতিক উদ্যোগের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। পরে একাডেমির কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে স্মারক ও শংসাপত্র তুলে দেন স্বপনকান্তি ঘোষ, বিজয়কুমার দাস ও সাংবাদিক নন্দন দত্ত।ইন্দ্রনীল তাঁর সবিনয় বক্তব্যে বলেন, সিউড়ির প্রতি দায়বদ্ধতার তাগিদেই নিজের শহরে সঙ্গীত একাডেমি গড়ে সঙ্গীত প্রজন্ম গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছি। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সঙ্গীতসন্ধ্যার আকর্ষণ সঙ্গীতশিল্পী মনোময় ভট্টাচার্যর হাতে সম্মান স্মারক তুলে দিলেন সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী ও অন্যতম অতিথি স্বপনকান্তি ঘোষ। শিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য নানা ধরণের গানে এই সঙ্গীতসন্ধ্যাকে যথার্থই মনোরম করে তুললেন। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ছুঁয়ে নানা স্বাদের আধুনিক গানে মুগ্ধ করলেন পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গীতপিপাসু শ্রোতাদের। ইন্দ্রনীল সঙ্গীত একাডেমির এমন মনোময় মনোরম সঙ্গীত সন্ধ্যার স্মৃতি বহুদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই সন্ধ্যার শ্রোতাদের। সমগ্র অনুষ্ঠান সুচারুভাবে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বরুণ দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *