সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন মহম্মদ বাজারে
“পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর”- কবি কাজী নজরুল ইসলামের চোখে নারী এভাবে ধরা পড়েছে। আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। অনুরূপ ডিআরসিএসসির উদ্যোগে বীরভূম জেলার মহম্মদ বাজার ইউনিট ও ভুতুরা পঞ্চায়েতের যৌথ ব্যবস্থাপনায় গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন স্থানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা শিবিরের আয়োজন করা হয়। ইতিপূর্বে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার সহযোগে শেওড়াকুড়ি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পদযাত্রা বের করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিগণ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। শ্রম আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে নারী দিবস।১৯০৮ সালে ১৫ হাজার নারী কর্ম ঘন্টা কমানো, মজুরি বাড়ানো ও ভোটাধিকারের দাবিতে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ করে। পরের বছর আমেরিকার সোসালিস্ট পার্টি প্রথম জাতীয় নারী দিবস ঘোষণা করে। সেই সমস্ত ইতিহাস গুলো তুলে ধরেন। এছাড়াও আদিবাসী নৃত্য গান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভুতুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান দিদিমণি মারান্ডি, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি কালিপ্রসাদ ব্যানার্জি, পঞ্চায়েত সহায়ক সুপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় সার্ভিস সেন্টারের মহম্মদ বাজার ইউনিট ম্যানেজার রীতা ভান্ডারী প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন রাজনগরে
বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নানা স্থানে এই দিনটি যথাযথ ভাবে পালন করা হয় নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। অনুরূপ রাজনগর পঞ্চায়েতের ডিহিপাড়ায় ডিআরসিএসসি নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনটি পালন করে। বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দলের মহিলারা স্থানীয় এলাকার গ্রাম পরিক্রমা করে এবং আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে। আলোচনা সভায় উঠে আসে পরিবারের মেয়ে ও ছেলে উভয় সন্তানের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজনের প্রতি সমান মনোযোগী হওয়া। জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধি। নারীর প্রতি আচরণে শ্রদ্ধাশীল ন্যায় পরায়ন ও যত্নশীল হওয়া। পরিবারের মেয়ে ও ছেলে উভয় সন্তানকে সমান সুযোগ দেওয়া। ১৮ বছরের আগে মেয়ে সন্তান ও একুশ বছরের আগে ছেলে সন্তানকে বিয়ে না দেওয়া। নারী ও কন্যা শিশু যেকোনো নির্যাতন বন্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান লতিকা মুর্মূ, স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সার্ভিস সেন্টারের ফিল্ড ফেসিলেটর গৌরাঙ্গ দাস প্রমুখ।