
দীপককুমার দাসঃ

রবিবার, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বীরভূম বাতিঘর থিয়েটারের আয়োজনে সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে মঞ্চস্থ হলো দুটি নাটক। প্রথমে বীরভূম বাতিঘর থিয়েটারের প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় গাঁ গেরামের কেচ্ছা। এই নাটকের পর মঞ্চস্থ হয় উখড়া নবোদয়ের নাটক সুরের জাদু। দুটি নাটকেরই নির্দেশনায় ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব উত্তম চট্টোপাধ্যায়। প্রথম নাটকের শুরু গল্প দাদুর এক দুঃখী রাজার গল্প বলা দিয়ে।এক ঋষির দেওয়া ফল খেয়ে অবশেষে রাজার দখিনা রাণী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সেই কন্যা মৃত ভেবে গুণীনের কথায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীর জলে। নদীর জল থেকে ঐ নবজাতক কন্যাকে তুলে নেন এক মুনি। সেই কন্যাই এখন পঞ্চাদশী কাঞ্চন মালা।কাঞ্চনমালা প্রেমে পড়ে নন্দ রাখালের। এদিকে সেই রাজা এসে পৌঁছান ঐ মুনির তপোবনে। সেখানেই আবার মিলন হয় পিতার সঙ্গে কন্যার। এমন একটি গল্প নিয়েই এই নাটক এগোতে থাকে। কুশীলবরা নিজের নিজের চরিত্রে ফুটিয়ে তোলেন সুন্দর ভাবে। এরপর মঞ্চস্থ হয় উখড়া নবোদয়ের সুরের জাদু নাটক। এই নাটকে সঙ্গীত প্রিয় রাজা সঙ্গীতে ডুবে থাকতে চান। সভাসদদের খোঁজ করতে বলেন সুরেলা কন্ঠের গায়কের। অবশেষে রাজার লোকজন ধরে আনেন কোকিলাকে। এদিকে রাজাকে রোবট গায়ক উপহার দেন আরেক রাজা। যন্ত্রের গান সঙ্গীত প্রিয় রাজাকে তৃপ্তি দেয় না। অতৃপ্ত রাজা শেষে কোকিলার সুরেলা কন্ঠের গানে তৃপ্ত হন। এই গল্প নিয়েই সুরের জাদু নাটক। এদিন এই দুটি নাটক দেখতে সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে উপস্থিত ছিলেন নাট্যমোদি দর্শকরা।
