শম্ভুনাথ সেনঃ
প্রতিবাদের আর এক নাম সফদার হাশমী!পথনাটিকার অন্যতম পথিকৃত তিনি। ১২ এপ্রিল “সফদার হাশমী’র” জন্মদিন। এই নাট্যব্যক্তিত্ব মঞ্চ থেকে বেরিয়ে নাটক কে নিয়ে গিয়েছিলেন জনসাধারণের কাছে। “হল্লাবোল” নাটকে অভিনয় চলাকালীন একদল দুষ্কৃতীর গুরুতর আক্রমণে তাঁর মৃত্যু হয়। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে থেমে যায় এই প্রতিবাদীর আওয়াজ। তাঁর জন্মদিনটি “জাতীয় পথনাটক” দিবস হিসেবে চিহ্নিত। তার জন্মদিনটি ঘিরে বীরভূমের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন “একলব্য”এর উদ্যোগে এবারও দুবরাজপুর মাদৃক সংঘ সাংস্কৃতিক ময়দানে ১২-১৪ এপ্রিল ৩ দিনের পথনাটক উৎসবের সূচনা হয়।১২ এপ্রিল এই উৎসবের উদ্বোধন করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিনী দিপালী গঙ্গোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর পুরপ্রধান পীযূষ পান্ডে, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির সদস্য নাট্যকার মলয় ঘোষ, দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ,একলব্যের কর্ণধার মধুসূদন কুণ্ড প্রমুখ। সফদার হাশমীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে দিনটির তাৎপর্য ও একলব্যের পথ চলার ইতিহাস তুলে ধরেন বক্তারা। তিনদিনের এই পথনাটক উৎসবে জেলা ও ভিন জেলার নাট্যগোষ্ঠীর প্রযোজনায় ১৪ টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই উৎসবের উদ্বোধনের সূচনায় পরিবেশিত হয় বাঁকুড়া জেলার কৃষ্ণ কুঠারী ও সম্প্রদায়ের “সানাই বাদন”। উদ্বোধনী সংগীতে অংশ নেয় একলব্যের শিল্পীরা। একলব্যের প্রযোজনায় “পঞ্চ ইন্দ্রিয় এবং”, সিউড়ি থিয়েটার অভিযানের প্রযোজনায় নাট্যকার সুবিনয় দাসের “কালাচাঁদের মেলা” ছাড়াও আরো তিনটি নাটক প্রথম দিনেই মঞ্চস্থ হয়। খোলা আকাশের নিচে নাট্য অনুরাগী মানুষজনদের উপস্থিতিতে তৃতীয় বর্ষের এই পথনাটক উৎসবে “মাদৃক সংঘ সাংস্কৃতিক” ময়দান ছিল বেশ জমজমাট।