দীপককুমার দাসঃ
সিউড়ি রবীন্দ্র সদনে ১৫ এপ্রিল, শনিবার সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষের দিনে অনবদ্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল নব ঊষা নৃত্যম্ কলাকেন্দ্রমের পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল-বর্ষবরণের নৃত্যাঞ্জলি। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিশিষ্ট অতিথিরা। অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ির বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জি বাংলা ডান্সের সেমিফাইনালিষ্ট মঞ্জুরী দাস, ভরত নাট্যম নৃত্যশিল্পী শুভঙ্কর সেনগুপ্ত, বর্ষীয়ান নৃত্য শিল্পী সমীরণ দাস প্রমুখ।এরপর এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য দিয়েই শুরু হয় বর্ষবরণের নৃত্যাঞ্জলি। বেশ কয়েকটি গানও কবিতার কোলাজের সঙ্গে নৃত্য নিয়ে “বর্ষবরণের নৃত্যাঞ্জলি” আলাদা মাত্রা এনে দেয় এই অনুষ্ঠানে। দেবযানী দত্ত ঘোষের নৃত্যপরিচালনায় এদিনের অনুষ্ঠানটি বেশ কয়েকটি পর্বে উপস্হাপিত হয়। পর্ব গুলি বর্ষবরণের নৃত্যাঞ্জলি, নৃত্যনাট্য, লোকনৃত্য, নারীশক্তি। পর্বগুলির মাঝে অতিথি দুই শিল্পী শুভঙ্কর সেনগুপ্ত ও মঞ্জুরি দাসের যুগল নৃত্য দর্শকদের তৃপ্তি দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজারিণী নৃত্যনাট্যের একটি দৃশ্য অনবদ্য ভাবে তুলে ধরেন নব ঊষা নৃত্যম্ কলাকেন্দ্রমের নৃত্যশিল্পীরা। দর্শক প্রশংসিত হয় নারীশক্তির দৃশ্যায়ণ ও। এদিনের এই অনুষ্ঠানে শতাধিক নৃত্য শিল্পী অংশগ্রহণ করে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বরুণ দাস। পয়লা বৈশাখের দিন সন্ধ্যায় সিউড়ির রবীন্দ্র সদনে এই অনুষ্ঠান দেখতে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ।