শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামে সৌরশান্তি সেবা কেন্দ্রের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ১৮ এপ্রিল সারাদিন ব্যাপী রাধারাণী অছি পরিষদ ও ধুলোমাটি সাহিত্য পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় “পল্লীজননী উৎসব”। এদিন জেলার খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক,লেখক ও সঙ্গীত শিল্পী এবং গুণীজনদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। প্রচন্ড তাপপ্রবাহকে উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কবি সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট নাট্যপ্রেমী মহাদেব দত্ত।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক গীতা দাস প্রমুখ। রাধারাণী অছি পরিষদের সম্পাদক রমেশচন্দ্র ঠাকুরের মঙ্গলাচরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী গৌরী দাস। পাহাড়পুর গ্রামের প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট সমাজসেবী স্বর্গীয় সৌরেশচন্দ্র ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে উপস্থিত সকলেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।এই উৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন ধূলোমাটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক সোমেশ ঠাকুর। সংস্থার পক্ষ থেকে পল্লীজীবনের বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য মাটির মানুষ হিসাবে প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী রতন কাহার, বিশিষ্ট বাউল শিল্পী গীতা দাস বৈরাগ্য, সাহিত্যিক আনন্দ মন্ডল,চিকিৎসক ডাঃ বৃতিসুন্দর মল্লিক, শিক্ষক সুকুমার গড়াই,বিশিষ্ট সাংবাদিক সনাতন সৌ ও স্বভাব কবি প্রফুল্ল বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায়, রথীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, তমালকৃষ্ণ মাহান্ত, সুকুমার দত্ত প্রমুখ। প্রবন্ধ পাঠে অংশ নেন বীরভূম সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সরোজ কর্মকার, প্রাবন্ধিক শ্রীকুমার ভট্টাচার্য্য।প্রাণবন্ত গান পরিবেশন করেন শিল্পী মণিকা ঠাকুর, রতন কাহার, সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। উপস্থিত কবি সাহিত্যিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশিষ্ট নাট্যপ্রেমী ও কবি দেবেশ ঠাকুর। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কৃষ্ণপ্রিয়া ঠাকুর।