শম্ভুনাথ সেনঃ
তীব্র গরমে জ্বলছে বীরভূম। অত্যধিক দাবদাহে বিপর্যস্ত রাঙ্গামাটির মানুষ। স্বস্তিতে নেই পশু-পাখিরাও। বৈশাখ মাস পড়ার আগেই জেলায় তাপমাত্রা উঠেছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই ক’দিনে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে প্রায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আজ ২০ এপ্রিল আবার তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে। একদিকে জ্বালা ধরানো রোদের তেজ, তার উপর শুকনো গরম হাওয়া, নাকাল হচ্ছেন পথে ঘাটে বেরোনো মানুষজন। একদিন পরেই মুসলিমদের ঈদ উৎসব, তা সত্ত্বেও দোকানে কেনাকাটার ভিড় নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৬০ নম্বর জাতীয় ও রাজ্য সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কমছে। বাসে-ট্রেনে যাত্রী নেই। যেন অঘোষিত বন্ধের চেহারা। তবে ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষিত হয়েছে। বেলা বাড়তেই রাস্তাঘাট জনশূন্য। খাঁ খাঁ করছে গ্রাম-গঞ্জের মাঠ-ঘাট। বেলা বাড়তেই লু বইছে। তবুও জীবিকার টানে খেটে খাওয়া মানুষজনদের কাজে বেরোতেই হচ্ছে। শ্রমিক, মজুর, রাজমিস্ত্রি সকাল-সকাল কাজ গুটিয়ে দুপুরের আগেই বাড়ি ফিরছেন। বহু পুকুরের জল শুকিয়ে গেছে। ভূগর্ভস্থ জল নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার নলহাটি, মুরারই, খয়রাশোল, রাজনগর, সিউড়ি, মহম্মদবাজার এমন সব ব্লক এলাকায় অনেক গ্রামে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সংকট। টিউবওয়েলে জল বেরোচ্ছে না। কুয়োতেও জল শুকিয়ে গেছে। জেলার অন্যতম তন্ত্রক্ষেত্র তারাপীঠ, সতীপীঠ বক্রেশ্বর, নলহাটির নলাটেশ্বরী, কংকালীতলা, তীর্থভূমি জয়দেব জেলার এমন সব পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে এখন পর্যটকশূন্য। জেলা সদর সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর এমন শহরতলি এলাকায় দেখা যাচ্ছে ঠান্ডা পানীয়ের দোকানের ভিড়। অসহনীয় গরমে নাজেহাল বীরভূমের মানুষজন। বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছে রাঙামাটির মানুষ!