শম্ভুনাথ সেনঃ
ক’দিন ধরে তীব্র দাবদাহে বিপর্যস্ত মানুষ।বেলা বাড়তেই রাস্তাঘাট শুনশান। জীবন-জীবিকায় টান পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষের। এদিকে তীব্র গরমের জেরে শ’য়ে শ’য়ে মৃত্যু হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগির৷ পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। দিশেহারা প্রাণীপালকরা। জীবিকার দিশা পেতে গ্রাম গঞ্জের বহু এলাকাতে এখন পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে উঠেছে। পুষ্টির যোগান এবং খাদ্য হিসেবে মুরগির মাংস ও ডিমের চাহিদা এখন সর্বত্র। কিন্তু অত্যধিক গরমের ফলে মুরগি বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। খড়ের ছাউনি দিয়ে জলের ব্যবস্থা,পাখার বাতাস তা সত্ত্বেও পোল্ট্রি ফার্মে মুরগি মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ীরা।ফলে আকাশ ছোঁয়া দাম বাড়তে পারে মুরগির মাংসের এমনি আশঙ্কা। কিলো প্রতি ২০০ টাকা দামের জায়গায় বর্তমানে কিলো প্রতি ২৪০-২৫০ টাকা ছুঁয়েছে। বীরভূমের বোলপুর, ইলামবাজার, দুবরাজপুর এলাকার বেশ কয়েকটি পোলট্রি ফার্মে অত্যধিক গরমের কারণে কয়েকদিন ধরেই দৈনিক শ’য়ে শ’য়ে মারা যাচ্ছে মুরগি৷ সেকথায় নয়াপ্রজন্মকে জানিয়েছেন দুবরাজপুরের কুলেকুড়ি গ্রামের পোল্ট্রি ফার্মের মালিক কাজল ঘোষ। শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দপ্তরের তরফে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। দিন দশেক ধরে বইছে লু৷ ব্লক প্রাণীসম্পদ কেন্দ্রের আধিকারিকদর অভিমত এই তাপপ্রবাহের কারনে মৃত্যু হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগির। গরম থেকে মুরগিদের বাঁচাতে ফার্মের মাথায় জলছাদ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমন সব ব্যবস্থা সত্ত্বেও প্রত্যহ শ’য়ে শ’য়ে মুরগীর মৃত্যুতে ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। আর এইসব কারণে মুরগির দাম বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সমাজের সাধারণ মানুষজন।