সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
দীর্ঘ একমাস কেয়াম সাধনা তথা রোজা রাখার পর দেশজুড়ে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে খুশির উৎসব ঈদ। দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি জেলা জুড়েও পালিত হচ্ছে খুশির উৎসব ঈদ। আরবি মাস অনুযায়ী গতকাল শেষ হয়েছে রমজান মাস। তারপরেই সন্ধ্যা থেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখার পর্ব। অর্থাৎ রমজান মাসের পরের মাস শাওয়াল মাস। এদিন সন্ধার সময় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা মাত্রই শুরু হয়ে যায় ঈদের খুশির আনন্দ। মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে বা পাড়ায় পাড়ায় চলে খুশি মানানোর বিভিন্ন অনুষ্ঠান সূচী।শনিবার সকাল থেকে নতুন বস্ত্র পরিধান করে ঈদের নামাজ আদায় করতে ঈদগাহ ময়দান কোথাও বা মসজিদের মধ্যে জমায়েত হন। নামাজ শেষে পারস্পরিক কোলাকুলি, সালাম, শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলে মিষ্টিমুখ করানো। উল্লেখ্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে আগাম ঈদ উপলক্ষে থানায় থানায় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য স্থানীয় বিশিষ্টজনদের নিয়ে ডাকা সভায় আহ্বান জানানো হয়। সেই সুর আজ ঈদের নামাজের পর পেশ ইমাম গন নিজ নিজ মসজিদ বা ঈদগাহ ময়দানে ফের একবার স্মরণ করিয়ে দেন সকলের কাছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে চলতে, ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে মোটরসাইকেল না দেওয়া কিম্বা গাড়ি নিয়ে রেষারেষি না করা ইত্যাদি পুলিশের কথা গুলি পুনরায় নামাজ পাঠের আসরে শোনালেন।সেই সাথে যেকোনো বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য বলা। একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই কথা শোনালেন লোকপুর থানার আলিয়ট মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ সামিউল খান।এছাড়াও খয়রাসোল দুবরাজপুর রাজনগর সিউড়ি সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদ উৎসব পালনের খবর ও ছবি আসছে।