“তৃণমূল কংগ্রেস বিশুদ্ধ লোহা, যত আঘাত করবে ততই শক্তিশালী হবে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

দীপককুমার দাসঃ

মহঃ বাজারের সেচ দপ্তরের মাঠে বুধবার বিকাল চারটায় এসে পৌঁছান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।নবজোয়ার কর্মসূচিতে মঙ্গলবার থেকে বীরভূম সফর শুরু করেছেন তিনি।আজ বুধবার মহঃবাজারের জনসভা থেকে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে।আবাস যোজনার টাকা ও আটকে রেখেছে। কেন্দ্রীয় সরকার জোর জবরদস্তি করে,ইডি সিবিআই লাগিয়ে আমাদের সংগ্রামকে বাধাপ্রাপ্ত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।এই দলটা সিপিআইএম নয়, কংগ্রেস নয় যে ইডি সিবিআই লাগাবে আর দলটা মাটিতে মিশে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস বিশুদ্ধ লোহা, যত আঘাত করবে, যত প্রহার করবে, লোহা যত তাতাবে ততই শক্তিশালী হবে। আমাদের আগামীর আন্দোলন আরো তীব্রতর হবে।” ৬০দিনের নবজোয়ার কর্মসূচিতে গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে জেলা সফরে বেড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচীর ১৫তম দিনে মঙ্গলবার বীরভূম সফর শুরু করেন। বুধবার দুপুরে মহঃ বাজার ইরিগেশন কলোনীর মাঠে জনসভা করেন তিনি। কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনদিনের কর্মসূচি রয়েছে বীরভূমে। তিনি মহঃ বাজারের জনসভায় বলেন, “আমি আপনাদের কাছে ভোটের প্রচার করতে আসিনি। আমি আজ সিউড়িতে থাকবো, কাল নানুরে থাকবো। আমি তৃণমূলের বুথস্তরের কর্মীদের কাছে মতামত নিতে এসেছি। আগামী দিনে যোগ্য পঞ্চায়েত প্রতিনিধিকে নির্বাচন করে যাতে মানুষের জন্য কাজ করাতে পারি তার জন্য এই কর্মসূচি।”মঞ্চে ভাষন চলাকালীন উঠে আসে ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের জলের সমস্যার কথা। তিনি বলেন এক সপ্তাহের মধ্যে ঐ অঞ্চলের প্রতিটি বুথে একটি করে টিউবওয়েল করে দেওয়া হবে। এদিন প্রায় ৪২ডিগ্রি তাপমাত্রা উপেক্ষা করে মহঃবাজার ব্লকের বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের কর্মী সর্মথকরা মিছিল করে আসেন। ময়ূরেশ্বরে রোড শো করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন মহঃ বাজারে। এই নবজোয়ার কর্মসূচি ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা ছিল যথেষ্ট। তবে এই মঞ্চে দেউচা পাঁচামী কয়লাখনি নিয়ে কোনো কথা বলেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল, মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সব বিধানসভার বিধায়করা। মহঃ বাজারের সভা শেষে তিনি যান ভারত চীন সীমান্তে শহীদ রাজেশ ওঁরাং এর বেলঘড়িয়া গ্রামের বাড়িতে। রাজেশ ওঁরাং এর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কথা বলেন রাজেশ ওঁরাং এর বাবা ও মায়ের সঙ্গে। এরপর কড়িধ্যাতে রোড শো করেন তিনি। বিশেষ অলিম্পিকে মহিলা ফুটবল দলের সহ অধিনায়ক পাপিয়া মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর পাথরচাপুরীর দাতা বাবার মাজারে চাদর চাপান। সেখানে ইমামদের সঙ্গে কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *