চন্দন চট্টোপাধ্যায়ঃ
‘উচ্চারণ আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’ আয়োজিত এক মনোজ্ঞ রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা উদযাপিত হয়ে গেল গত ৩ জুন, সিউড়ি সংলগ্ন কড়িধ্যা গ্রামে। অনুষ্ঠানে ৭৫ কণ্ঠের সম্মিলিত কাব্যস্বরে ধ্বনিত হলো নজরুলের ‘বাসন্তী’ কবিতা। রবীন্দ্রনাথের ‘নাসিক হইতে খুড়ার পত্র’ সহ আবৃত্তি ছাড়া কিছু গানও পরিবেশিত হয়। মোট ৮৪ জন শিল্পীর গান-আবৃত্তির মধ্যে আকর্ষণীয় ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’র ‘বিদায়’ কাব্যাংশটি। কবিতায় কণ্ঠে বামদেব মুখোপাধ্যায়, মোহনবীণায় অর্ক ভট্টাচার্য এবং সঙ্গীতে মদন মোহন পালের ত্রয়ী যুগলবন্দী শ্রোতা-দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়। সুমন-মৌসুমীর যুগ্ম সঞ্চালনা প্রায় তিন ঘন্টার অনুষ্ঠানে এক উজ্জ্বল অবদান। ‘উচ্চারণ’ সংস্থার কর্ণধার বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী বামদেব মুখোপাধ্যায় জানালেন, ‘এই ডিজিটাল যুগেও আবৃত্তি প্রশিক্ষণে শিশু কিশোরদের আগ্রহে আমরা মুগ্ধ। আগামীতে শত কণ্ঠে সমবেত আবৃত্তির প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’