নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ
৭ জুন প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী বনানী ঘোষ। বুধবার কলকাতায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশের ময়মনসিংঙে তাঁর জন্ম। বাবা প্রফুল্ল কৃষ্ণ ঘোষ ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ, কবি ও শিশুতোষ সাময়িকীর সম্পাদক। তাঁর সঙ্গীতচর্চা শুরু একেবারে ছোটবেলা থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। রবীন্দ্রভারতী থেকে ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। পরবর্তীতে শান্তিনিকেতনে এসে শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শুরু হয় তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতচর্চা। জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, রমেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট শিল্পীদের কাছেও তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিম নেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও তিনি অতুলপ্রসাদী এবং ভজনের উপর আলাদা ভাবে তালিম নেন মঞ্জু গুপ্ত এবং ওস্তাদ আলী আকবর খানের কাছ থেকে। এরপর তিনি আকাশবানী এবং দূরদর্শনে তাঁর স্থান করে নেন। সুচিত্রা মিত্র, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট শিল্পীদের সাথে তিনি কাজ করেছেন রবীন্দ্রনাথের শাপমোচন, মায়ারখেলা, চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যগুলিতে। এরপর বাংলা ছেড়ে তিনি পাড়ি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রবীন্দ্রসংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে। সেখানে তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রসার ঘটানোর জন্য তৈরী করেন ‘অন্তরা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অসংখ্য ছাত্রছাত্রী তিনি তৈরী করেছেন বিদেশের মাটিতেও। কানাডাতেও দুটি প্রতিষ্ঠান তিনি তৈরী করেছিলেন। শিল্পী গত ৪০ বছর এমনভাবেই রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে জীবনযাপন করেছিলেন। তাঁর এই জীবনযাপন বিদেশের মাটিতে খুব সহজ ছিল না। প্রচুর পরিশ্রম করেছেন তিনি। শেষ বয়সে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। গত কয়েকমাসে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অবশেষে ৭ জুন তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়ে যায় সমগ্র সঙ্গীত জগত।