সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
দীর্ঘ একমাস যাবৎ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট আদায়ের রণকৌশল সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যতিব্যস্ত লক্ষ্য করা যায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। ভোটের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর থেকে নিজ নিজ দলের সমর্থনে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সদ্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সকল দলীয় প্রার্থী, অঞ্চল নেতৃত্ব, ব্লক কমিটির সদস্য সহ অন্যান্য স্তরের নেতৃত্বদের নিয়ে রামপুরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয় রামপুরহাট শহরে এক বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনের মধ্যে। সভায় একবারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সহ চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। বিভিন্ন স্তরে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের বাহবা জানানোর পাশাপাশি দলের পরাজিত প্রার্থীদেরও উৎসাহ দেওয়া হয়। মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ও সুখে দুঃখে তাদের সমব্যথী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এদিন বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং অভিষেক ব্যানার্জীর সাংগঠনিক শক্তি সারা বাংলায় জয়ের চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আমি-আমি, আপনি-আপনি আছেন। এছাড়াও বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে ভাবে দলীয় টিকিট বিতরণ করা হয়েছিল। বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ভাবে নির্বাচিত করা হবে। এখানে আমাদের কারো কিছু করার নেই। রাজ্য নেতৃত্ব থেকে সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে আসবে। এছাড়াও সতর্ক করে বলেন এবার কিন্তু ভাববেন না একবার প্রধান হয়ে গেলাম মানে পাঁচ বছর নিশ্চিত তা কিন্তু হবে না। প্রতি ছয়মাস অন্তর তাদের কাজের মূল্যায়ন হবে, কাজের ভিত্তিতে সেই টিকে থাকবে। পাশাপাশি আগামী ২১ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে কোলকাতা যাবার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পীকার ডঃ আশীষ ব্যানার্জী। এছাড়াও ছিলেন রামপুরহাট ১নং ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, ত্রিদীব ভট্টাচার্য প্রমুখ। উল্লেখ্য এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল রামপুরহাট ১ নং ব্লকের মোট ৯ পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮টি পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এবং ১ টি পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে গেছে।