শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের সদর সিউড়িতে ৬ আগষ্ট সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসদন মঞ্চে “সংস্কার ভারতী”, বীরভূম জেলা আয়োজিত স্বাধীনতার পঁচাত্তর- সমাপন সমারোহ “অমৃত অর্পণ” অনুষ্ঠিত হয়। সংস্কার ভারতীর প্রথা অনুযায়ী ভাবসঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। শুরুতেই মুখকথা পরিবেশন করেন জেলা সম্পাদক সুদীপ কুমার চট্টোপাধ্যায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ স্বপন মুখোপাধ্যায়, কল্লোল ভট্টাচার্য, শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী, অমিত অধিকারী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী দুকড়িবালা দেবীর দু’ই নাতি অশোক কুমার চক্রবর্তী এবং পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী। দীপমন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে ভারতমাতার সম্মুখে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও পুষ্পার্ঘ নিবেদিত হয়। অতিথিরা প্রস্তাবিত ভাষণে তুলে ধরেন নানা অজানা তথ্য। এরপর এই বীরভূমেরই এক অখ্যাত গ্রামের নিতান্ত আটপৌরে জীবনে বৈপ্লবিকধারে শাণিত একটি তেজময় জ্যোতি দুকড়িবালা দেবীকে স্মরণ ক’রে “বীর ললনার বিজয় গাঁথা” নামক একটি গীতি আলেখ্য পরিবেশিত হয়। প্রদর্শিত হয় একটি তথ্যচিত্র। দুকড়িবালা দেবী সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রথম বঙ্গ বিপ্লবী নারী। এদিন অনুষ্ঠান জুড়ে তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদিত হয়। পরবর্তী অনুষ্ঠিত হয় স্বদেশের অমৃত উপাখ্যান “নমামি ভারতবর্ষম” শীর্ষক একটি অপূর্ব সুন্দর নৃত্য আলেখ্য। সব শেষে গীত হয় অখন্ড ‘বন্দেমাতরম’। উপস্থাপিত প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান ছুঁয়ে যায় শ্রোতাদের মন।