সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর গঠিত হয়েছে বোর্ড। কিন্তু বাকি রয়েছে স্থায়ী সমিতি গঠন প্রক্রিয়া। যা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর গঠন হওয়ার কথা। এরই মধ্যে খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে দেখা দিয়েছে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের দৌড়ঝাঁপ। জেলার বুকে খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব চির বিবাদমান যা আজও অব্যাহত। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বন্টনের প্রতিযোগিতা থেকে বোর্ড গঠন তথা প্রধান উপপ্রধান নিয়ে দ্বন্দ্ব। যা তৃণমূল রাজ্য কমিটির নির্দেশ কে অমান্য করে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধান উপপ্রধান নির্বাচিত হয় বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে স্থানীয় নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে। এই সমস্যার সমাধান হতে না হতেই আজ ৪ সেপ্টেম্বর খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির ডাকা মিটিং ঘিরে ফের প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসে নিজেদের দ্বন্দ্বের চিত্র। জানা যায় যে, খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী মোবাইলে ম্যাসেজ মারফত নোটিশ দেন নিন্মরূপ- *আগামী সোমবার (০৪/৯/২৩) বেলা ৩.৩০মি.খয়রাশোল পার্টি অফিসে ব্লক কমিটি, অঞ্চল প্রেসিডেন্ট/কনভেনর, ব্লক-ছাত্র-যুব-মহিলা-তপশিলী-আদিবাসী, সংখ্যা লঘু, সকল সক্রিয় কর্মীদের এবং পঞ্চায়েত সমিতির নব নির্বাচিত সদস্য /সদস্যা এবং সকল প্রধান ও উপপ্রধানের উপস্থিতি কামনা করি। বিষয়-সাংগঠনিক আলোচনা ও পর্যালোচনা*। সেক্ষেত্রে সাধারণ দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপচে ভীড় ছোটো আকারের জনসভার রূপ ধারণ করে। কিন্তু যাদের উদ্দেশ্যে মিটিং ডাকা তার সিংহ ভাগই অনুপস্থিত। এনিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের আগে নির্বাচিত সদস্যদের অনুপস্থিতি কিসের ইঙ্গিত? তাহলে কি গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে? যদিও ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর দাবি পঞ্চায়েত সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যদের পাশাপাশি সকল সক্রিয় কর্মীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে সে হিসেবে কয়েকজন সমিতির সদস্য সহ প্রচুর লোকসমাগম হয়েছে। এদিকে বিপক্ষ গোষ্ঠীর অভিমত যে ব্লক নেতৃত্ব, নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ অনেকেই অনুপস্থিত। তবে সদ্য পঞ্চায়েত ভোটে যারা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছিল এমনকি দলের বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছিল সেই সমস্ত লোকজনের ভিড়ে গা ভাসানো হয়েছে মাত্র। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত সমিতির ২৯ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে যায় ২১টি এবং বিজেপি ৮ টি আসন দখল করে।