সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশানুযায়ী ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। ২ অক্টোবর দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী তৃণমুল কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর দিল্লি পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে ৩ অক্টোবর রাজ্যের সমস্ত ব্লকে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল। উল্লেখ্য রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা, একশো দিনের কাজের বকেয়া পাওনা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, আবাস যোজনার ঘর ও একশো দিনের কাজ শুরু করার দাবিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দুদিন ব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেই মোতাবেক দিল্লির যন্তরমন্তর এলাকায় দুদিন এবং রাজ্যজুড়ে অঞ্চল ভিত্তিক প্রথম দিন এবং ব্লক স্তরে দ্বিতীয় দিন অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার কথা। এই হিসেবে দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন দিল্লি পুলিশ সেখানে অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাজ্য ব্যাপী ব্লক ভিত্তিক বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। জেলার অন্যান্য ব্লকের ন্যায় খয়রাশোল ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের উদ্যোগেও একটি বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি নবনির্মিত দলীয় কার্য্যালয় থেকে বের হয়ে খয়রাসোল বাজার, বাসস্ট্যান্ড সহ স্থানীয় গ্রাম পরিক্রমা করে। ব্লক নেতৃত্বের বক্তব্য অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির পরেও যদি দাবি পূরণ না হয় তাহলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলন পথে নামা হবে।
এদিন বিক্ষোভ মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন খয়রাশোল ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক মৃনাল কান্তি ঘোষ, তৃণমূল জেলা শিক্ষা সেলের সম্পাদক উজ্জ্বল হক কাদেরী, শিক্ষক প্রদীপ মন্ডল, তৃণমূল ব্লক কমিটির সদস্য শ্যামল কুমার গায়েন, সেখ জয়নাল, স্বপন সেন, কাঞ্চন দে, প্রলয় ঘোষ, সৌগত মুখার্জী, ব্লক তৃণমূল মহিলা নেত্রী প্রান্তিকা চ্যাটার্জী, কেনিজ রাসেদ, রুনু সিংহ প্রমুখ।