দীপককুমার দাসঃ
প্রয়াত থিম মেকার রবিউল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিউড়ি চৌরঙ্গী ক্লাবের এবারের থিম-শ্রদ্ধাঞ্জলী। প্রবেশ পথের দুধারে কাগজের কাপের তৈরি প্রদীপ। একটু এগিয়ে গেলেই দেখা যাবে দেওয়াল জুড়ে এক ক্যানভাস। সেখানে পেপার কাটিং এর রবিউলের শিল্পকর্মের কোলাজ। বীরভূম জেলার প্রথম থিম পূজোর সূচনা হয়েছিল দুবরাজপুরের পছিয়ারা গ্রামের রবিউল ইসলামের হাত ধরে। দীর্ঘ এক দশক তিনি জড়িয়েছিলেন এই পূজোর সঙ্গে। তাঁর অকাল প্রয়াণে তাই তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করছেন সিউড়ির দত্ত পুকুরের চৌরঙ্গী ক্লাব। মন্ডপের সিলিং জুড়ে নানা ধরনের শিল্পকর্ম চোখ জুড়াবে। প্রতিমাতে থিমের ছোঁয়া। এবার এই পুজোর বাজেট ১২লক্ষ টাকা। এবারের থিম শিল্পী বাঁকুড়ার দেবাশীষ কর্মকার। প্রতিমা নির্মাণ করেছেন হেতমপুরের সরোজিৎ কর্মকার। আলোকসজ্জা চূচূড়া-চন্দননগরের। ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ দেবাশীষ ধীবর জানান, এবারে আমাদের থিমের ট্যাগ লাইন “এত আনন্দ, এত আয়োজন, সবই বৃথা তোমায় ছাড়া।” দীর্ঘ এক দশক ধরে প্রয়াত থিম শিল্পী রবিউল ইসলাম জড়িয়ে ছিলেন এই পুজোর সঙ্গে। আমাদের এই মফঃস্বল এলাকায় রবিউল ইসলামের হাত ধরেই থিমের পুজোর সূচনা হয়েছিল। অকাল প্রয়াত এই শিল্পীকে শ্রদ্ধাঞ্জলী এবারের ৪৪তম বর্ষের এই থিমের মাধ্যমে।