শম্ভুনাথ সেনঃ
গ্রাম প্রধান জেলা বীরভূম। জেলায় সার্বজনীন ও পারিবারিক মিলিয়ে এবৎসর ৩,৫৬৭ টি দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।তাঁর মধ্যে ২,৬৩৮ টি পুজো কমিটি পেয়েছে এবার ৭০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান। এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল সেখ। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘হালসোত’ গ্রামে সরকার বাড়ির পুজো এ বার ৪০২ বছরে পড়ল। পরপর চার বছর ধরে এই পুজো কমিটি পাচ্ছে প.ব. সরকারের আর্থিক অনুদান। অন্যদিকে এ বছরই প্রথম স্থানীয় দুবরাজপুর বিধায়ক অনুপকুমার সাহা এই পুজো কমিটিকে “শারদ সম্মান-২০২৩” স্মারক পাঠিয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন পরিবারের উত্তরসুরি বীরেন্দ্রনাথ সরকার। হালসোত গ্রামে এই একটি মাত্র মৃন্ময়ী মূর্তি নির্মাণ করে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তাই তা এখন সার্বজনীন রূপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, তৎকালীন রাজনগরের বীর রাজাদের প্রধান সেনাপতি ছিলেন শম্ভু শর্মা। জনশ্রুতি তিনিই এই দুর্গাপূজার প্রতিষ্ঠা করেন। আগে মাটির মন্দির থাকলেও বর্তমানে কংক্রিটের দুর্গামন্দির নির্মিত হয়েছে। এখনও সেই সাবেকী প্রথায় একচালি মূর্তি নির্মিত হয়। বৈদিক মন্ত্রে হয় পুজোপাঠ। জমিদারি প্রথায় সেই আমল থেকেই পুজোয় অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে ছাগ বলি হত। তবে সম্প্রতি বিঘ্ন ঘটায় পশু বলি বন্ধ হয়েছে। পরিবর্তে সেনাপতির সেই তলোয়ারে আজও হয় কুমড়ো বলি। সে কথায় জানান সরকার পরিবারের প্রধান ক্ষেত্রনাথ সরকার (৮৫)। ২৩ অক্টোবর নবমীতে গ্রামের মানুষজনকে নিয়ে দুপুরে পঙতি প্রসাদের আয়োজন করা হয়। মহাষষ্ঠীতে স্থানীয় ৫০ জন মহিলা ও শিশুদের মধ্যে দান করা হয় নতুন বস্ত্র।