
দীপক কুমার দাসঃ
প্রতিবছর বৈশাখ মাসের অমাবস্যায় মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়ার ক্যানেল পাড়ে একটি পুকুরের পাড়ে গাছগাছালি ভরা নির্জন জায়গায় আয়োজন করা হয় কেদারেশ্বরী ছিন্নমস্তা মহাকালীর পুজো। মুর্শিবাদের নবাব সফররাজ খানের দেওয়ান ছিলেন কেদার রায়। প্রতিদিন নবাবের লোকের অগোচরে ঘোড়া ছুটিয়ে সোনারগড়িয়া যার বর্তমান নাম আঙারগড়িয়া আসতেন কেদার রায়। ভোর হতে না হতেই আবার মুর্শিদাবাদ ফিরে যেতেন তিনি। একদিন এই লুকিয়ে প্রেয়সীর কাছে আসার খবর জেনে যান নবাব। ফলে নবাবের রোষানলে পড়েন। নবাবের লোকজন কেদার রায়ের খোঁজে এখানে এলে যুগলে আত্মহত্যা করেন। কারো মতে নবাবের লোকজন তাদের হত্যা করে এবং সোনারগড়িয়া গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়।সেই থেকে সোনারগড়িয়ার নাম বদলে আঙারগড়িয়া হয়।এখানের মানুষজন বলেন, রাতে আসে রাতে যায় তার নাম কেদার রায়। কেদার রায় এখানের এই ছিন্নমস্তা কালির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শনিবার এই পুজোকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ভিড় জমান এলাকার মানুষজন। এখানে আগত সকলকেই দেওয়া হয় ভোগ প্রসাদ। তিন দিন ধরেই আয়োজন করা হয়েছে কীর্তনগান ও বাউলগানের এবং বসেছে গ্রামীণ মেলাও। গত দু’বছর ধরে করোনা পরিস্থিতির কারণে শুধুমাত্র রীতি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় ধুমধামের সঙ্গেই আয়োজন করা হয়েছে পুজোর। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে শুধু আঙ্গারগড়িয়া নয়, পাশাপাশি বহু গ্রামের মানুষজন অন্যান্যবারের মতো এখানে ভিড় জমিয়েছেন।