সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে ব্লক তৃতমুল সভাপতি সহ জেলা পরিষদ সদস্য। আজ শুক্রবার খয়রাশোল ব্লক তৃণমুল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর নেতৃত্বে লোকপুর থানার বারাবন গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার ডাক দেন। সেখানেই কাঞ্চন বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আইনুস খানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে কাঞ্চন অধিকারীর বক্তব্য। তিনি জানান কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক এদিন রুপুষপুর অঞ্চলের বারাবন গ্রামে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুবছর ধরে ব্লক তৃণমুল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এইসময় কালে এলাকায় খুনখারাপি রাহাজানি বন্ধ হয়েছে। সেই সমস্ত কার্যকলাপ চালানোর উদ্দেশ্যেই তাদের এই অভিপ্রায় বলে তৃণমুল ব্লক সভাপতির অভিযোগ। লোকপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে খয়রাশোল ব্লক তৃণমুল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী এবং জেলা পরিষদ সদস্য নবগোপাল বাউরী কে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা যায়। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অপর গোষ্ঠীর বক্তব্য যে, যারা কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম এবং বিজেপির হয়ে ভোট করল তাদের বাড়িতেই এবং তাদের নিয়ে মিটিং করছে ব্লক সভাপতি। অথচ এই অঞ্চল এলাকার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই নিজের সিদ্ধান্তে এই কর্মসূচি নিয়েছেন। অন্য সূত্রে জানা যায় বেশ কয়েকদিন ধরে দলীয় কর্মসূচি মোতাবেক বিজয়া সম্মেলনকে ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্ধ প্রকট হয়ে ওঠে। জেলা সভাধিপতি কাজল সেখ দুপক্ষের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য তার অফিসে ডাক দেন। সেক্ষেত্রে ব্লক সভাপতি অনুপস্থিত থাকায় বৈঠক ভেস্তে যায় এবং মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত খয়রাশোল ব্লকে বিজয়া সম্মেলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন জেলা তৃণমুল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকাকালীন তিন জন নিহত হন আততায়ীর হাতে। ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন সহ পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।